আর্থিক
অন্তর্ভুক্তির বড় অগ্রগতি হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং বা
এমএফএস। যদিও প্রত্যাশা ও সম্প্রসারণের তুলনায় স্বল্পসংখ্যক গ্রাহকই সেবাটির
সুবিধা নিচ্ছেন। দেশে সেলফোনের সংযোগ সংখ্যা ১৬ কোটিরও বেশি। এ সংখ্যার ২২ শতাংশের
রয়েছে এমএফএস হিসাব, যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ
নিষ্ক্রিয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ-সংক্রান্ত এক জরিপের তথ্য বলছে, এক বছর সময়কালে এমএফএস সেবার মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ ও প্রেরণ
করেছেন এমন গ্রাহক রয়েছেন মাত্র ২২ দশমিক ২ শতাংশ।
জরিপের ফলাফল
অনুযায়ী, সেবাটির আওতায় থাকা ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ হিসাবধারী
এক বছরের মধ্যে অর্থের লেনদেনে এমএফএস সেবা ব্যবহার করেননি। এটি ব্যবহার করে শুধু
অর্থ গ্রহণ করেছেন এমন হিসাবধারী রয়েছেন ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। আর একই সময়ে নিজের
এমএফএস হিসাব ব্যবহার করে মাত্র ২ শতাংশ গ্রাহক অন্যের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন। জরিপে
অংশগ্রহণকারীদের ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে মোবাইল
ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনকারীদের বড় অংশই এখনো বাণিজ্যিক এজেন্টদের মাধ্যমে অর্থ
পাঠাচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের ‘সার্ভে অন ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিস অব অ্যাকসেস টু
ফিন্যান্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জরিপের এ ফলাফল তুলে ধরা
হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের নয় সদস্যের একটি
দল। এতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ
ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের
(বিআইবিএম) মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের আটটি বিভাগের
সমান সংখ্যক জেলা ও উপজেলার মোট ২ হাজার ৮৭২ জনের ওপর এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা
বলছেন, মোবাইল ব্যাংকিং সম্প্রসারিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গ্রাহকদের অর্থের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
পারেনি। এ সেবাকে ঘিরে প্রতারক চক্র এখনো সক্রিয়। এখনো বিভিন্নভাবে গ্রাহকরা
প্রতারণার জালে আটকা পড়ছেন। ফলে সাধারণ মানুষ সেবাটির ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে
পারেনি। কোনো কারণে হিসাব খুললেও বেশির ভাগ গ্রাহকই এমএফএস হিসাবে অর্থের লেনদেন
থেকে বিরত থাকছেন। গ্রাহকদের আস্থাহীনতার প্রকৃত চিত্রই বাংলাদেশ ব্যাংকের জরিপে
উঠে এসেছে।
যখন তখন দ্রুততম
সময়ে অর্থ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে চালু হয়েছিল মোবাইল ব্যাংকিং। ডাচ্-বাংলা
ব্যাংকের হাত ধরে চালু হয় সেবাটির। যদিও পরে শুরু করেও বাজারে সবচেয়ে বেশি সফলতা
পেয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান
‘বিকাশ’। এরপর প্রায় দুই ডজন ব্যাংক এমএফএস সেবা চালুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের
অনুমোদন নিয়েছে। এর মধ্যে সেবাটি চালু করতে পেরেছে ১৬টি ব্যাংক। সম্প্রতি মোবাইল
ব্যাংকিং সেবায় যুক্ত হয়েছে ডাক বিভাগের
‘নগদ’, যা ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (ডিএফএস)
বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং বাজারের ৮০ শতাংশেরও বেশি বিকাশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ‘রকেট’ ও ডাক বিভাগের ‘নগদ’ এগিয়ে রয়েছে।
যে প্রেক্ষাপটে
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল,
তাতেও পরিবর্তন এসেছে।
দেশের প্রায় সব ব্যাংকই বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ চালু করছে। বিকাশসহ অন্যান্য এমএফএস
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব সেবা দিত,
সেসব সেবা মোবাইল অ্যাপেই
পাওয়া যাচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা। এটিএম
কার্ড ও বুথ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। এছাড়া ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল সেবাও দ্রুত বিকাশ
হচ্ছে। এতে আগামী দিনে এমএফএস সেবার প্রয়োজনীয়তাও ফুরিয়ে আসছে।
বিকল্প অনেক
সেবা চালু হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রয়োজনীয়তা কমছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ
ব্যাংকের গবেষক দলের নেতৃত্ব দেয়া ড.
মো. আখতারুজ্জামানও। এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাটি চালু হওয়ার পর ২০১১-১২ সালের দিকে
দৈনিক শতকোটি টাকার লেনদেন হতো। কিন্তু পর্যায়ক্রমে এ লেনদেনের পরিমাণ
ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। বর্তমানে এ লেনদেন দৈনিক হাজার কোটি টাকারও বেশি। এগুলো
এমএফএস সেবার আশার দিক। যদিও বিপরীত চিত্রও আছে। বিকাশসহ অন্যান্য এমএফএস
প্রতিষ্ঠান যেভাবে সম্প্রসারিত হওয়া কথা,
সেভাবে হচ্ছে না।
গ্রাহকদের সিংহভাগই এ সেবাকে শুধু অর্থ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া হিসেবে নিয়েছেন। এজেন্ট
ব্যাংকিং, ব্যাংকগুলোর মোবাইল অ্যাপ, এটিএম ও ক্রেডিট কার্ডসহ বিকল্প বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম
জনপ্রিয়তা পাওয়ার ছায়া মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ওপর পড়েছে। তাছাড়া দেশের ব্যাংকগুলোর
প্রায় সব শাখাই অনলাইনের আওতায় চলে এসেছে। গ্রাহকরা চাইলেই দ্রুততম সময়ে অর্থ
লেনদেন করতে পারছেন। আগামীতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বর্তমান সময়ের চেয়েও বেশি
চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরিপে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার যে চিত্র উঠে এসেছে, তার সঙ্গে পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের তথ্যের কিছুটা বৈপরীত্য রয়েছে। বিভাগটির ২০১৯ সালের নভেম্বরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৯৪ হাজার। এর মধ্যে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার গ্রাহক সক্রিয়। কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে টানা তিন মাস কোনো ধরনের লেনদেন না হলে তা ইন-অ্যাকটিভ বা নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট হিসেবে বিবেচনা করে পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ। ব্যাংকগুলো থেকে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই প্রতিবেদন তৈরি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও এ প্রতিবেদনের তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মনেই প্রশ্ন আছে।
পেমেন্ট সিস্টেম
বিভাগের তথ্যমতে, গত অক্টোবরে সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২ কোটি
৯০ লাখ ১১ হাজার। কিন্তু নভেম্বরেই এ সংখ্যা ৩ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার দেখানো হয়েছে।
সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ৬০ লাখ। এ হিসাবে
সক্রিয় গ্রাহক বৃদ্ধির হার ২১ শতাংশ।
সক্রিয় গ্রাহক
বৃদ্ধির এ সংখ্যার সঙ্গে লেনদেনের সামঞ্জস্য নেই। গত অক্টোবরে এমএফএসের মাধ্যমে
মোট লেনদেন ছিল ৩৭ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। নভেম্বরে এ লেনদেন ৩৭ হাজার ৯১৮ কোটি
টাকায় গিয়ে ঠেকে। এ হিসাবে ৬০ লাখ সক্রিয় হিসাব বাড়লেও লেনদেন বেড়েছে মাত্র ১৫৬
কোটি টাকা। অর্থাৎ ২১ শতাংশ সক্রিয় হিসাব বৃদ্ধির বিপরীতে লেনদেন বেড়েছে শূন্য
দশমিক ৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যানের এ
অসামঞ্জস্যতার বিষয়ে পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, উপবৃত্তি বা সরকারি অন্য কোনো ভর্তুকির অর্থ ছাড় হলে মোবাইল
ব্যাংকিংয়ের সক্রিয় হিসাব বেড়ে যায়। পরের মাসেই সক্রিয় হিসাব সংখ্যা হঠাৎ করেই কমে
যায়। তবে এমএফএস সেবাদানকারী ব্যাংকগুলোর পরিসংখ্যানেও ভুল থাকতে পারে। পাঁচ-সাত বছর আগে চালু করা বন্ধ হিসাবও অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহক হিসেবে দেখাচ্ছে।
এমএফএস সেবায় বড়
বিনিয়োগ করেও বাজার ধরতে ব্যর্থ হয়েছে এক ডজনের বেশি ব্যাংক। সেবাটিতে বড় বিনিয়োগ
করেছিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক
(ইউসিবি), মার্কেন্টাইল,
ট্রাস্ট, আইএফআইসি,
ওয়ান, ইসলামী ব্যাংক,
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, মেঘনা,
রূপালী, বাংলাদেশ কমার্স,
যমুনা, এনসিসি ব্যাংক। কিন্তু বিনিয়োগের তুলনায় কোনো কোনো ব্যাংকের
সফলতা শূন্যের কোটায়।
ব্র্যাক
ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি বিকাশের মতোই পৃথক প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিল ট্রাস্ট, মার্কেন্টাইল,
ইউসিবিসহ কয়েকটি ব্যাংক।
যদিও ওই সময় সে সুযোগ পায়নি এ ব্যাংকগুলো। তবে সম্প্রতি মোবাইল অপারেটর রবির সঙ্গে
যৌথ বিনিয়োগে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান তৈরির অনুমোদন পেয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে
ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মঈনউদ্দীন বলেন, বিভিন্ন কারণে ট্রাস্ট ব্যাংকের টি-ক্যাশ জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার জন্য আমরা পৃথক একটি
কোম্পানি গঠন করেছি। ট্রাস্ট ব্যাংকের মালিকানায় থাকবে কোম্পানির ৫১ শতাংশ। বাকি
৪৯ শতাংশের মালিকানা রবির। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা কোম্পানিটির কার্যক্রম শুরু
করব।
ট্রাস্ট
ব্যাংকের মতোই মোবাইল ব্যাংকিং সেবার জন্য পৃথক কোম্পানি গঠনের পথে এগোচ্ছে
মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এরই মধ্যে কোম্পানিটির জন্য ২৫ কোটি টাকা মূলধন জোগান দেয়া
হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেলে সাবসিডিয়ারিটির কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে
জানান মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, অনেক আগে থেকে
‘মাই ক্যাশ’ নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে এমএফএস সেবা চালু আছে। এ সেবার মাধ্যমে আমরা
বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল সংগ্রহ করছি। তবে পৃথক কোম্পানি গঠনের পর সেবাটিতে আমূল
পরিবর্তন আনা হবে।
এমএফএস
প্লাটফর্ম ‘মোবিক্যাশ’-এর সঙ্গে যৌথভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে
দেশের ছয়টি বেসরকারি ব্যাংক। এ ব্যাংকগুলো হলো ডাচ্-বাংলা, ইসলামী ব্যাংক,
মার্কেন্টাইল ব্যাংক, আইএফআইসি,
ওয়ান ব্যাংক ও ইউসিবি।
এছাড়া এমএফএসের অন্য প্লাটফর্ম
‘শিউর ক্যাশ’-এর সঙ্গে যৌথভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে রূপালী
ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক ও
এনসিসি ব্যাংক।
চতুর্থ
প্রজন্মের মেঘনা ব্যাংক ‘ট্যাপ অ্যান্ড পে’ নামে একটি
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করলেও সেবাটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। অংশীজনদের সঙ্গে
টানাপড়েনে সেবাটি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে ব্যাংকটি।
এমএফএস সেবা
বিকাশ ও রকেটের অপব্যবহার করে অবৈধ হুন্ডির তত্পরতা, প্রতারণাসহ
বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ অনেক পুরনো। বিভিন্ন অভিযোগে প্রতিনিয়ত এ দুটি
প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা দেশের বিভিন্ন থানাসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাছে অভিযোগ
করছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট
বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপও নিয়েছে। তার পরও এমএফএস সেবার অপব্যবহার থামছে না।
তবে কমপ্লায়েন্সের দিকে আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানান বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদীর। তিনি বলেন, যেকোনো নতুন সেবা চালুর শুরুতে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়। এমএফএস সেবার ক্ষেত্রেও এটি সত্য। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএফআইইউর তত্পরতায় ত্রুটি-বিচ্যুতি অনেক কমে এসেছে। আমরাও লেনদেনের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স পরিপূরণে আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সেবাটিকে আরো বেশি নিরাপদ করে তুলতে বিকাশ কাজ করছে।
(এ প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ পলিসি অ্যাডভোকেসি ইনিশিয়েটিভ- পিএআই এর অধীনে তৈরি)