প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি সমস্যা সমাধানে তরুণ উদ্ভাবকের খোঁজে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) হ্যাকাথন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘থিংক, হ্যাক, সলভ’ স্লোগান সামনে রেখে গত শনিবার আইসিটি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও বাকৃবি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিকস বিভাগের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ৫০০ শিক্ষার্থী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ, পল্লী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পগুলো মনিটরিং, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রবর্তনসহ দেশের মোট ১০টি সমস্যা সমাধানে তরুণ প্রজন্মের ভাবনা এবং উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে চায় আইসিটি মন্ত্রণালয়। এজন্য দেশের ১০টি ভেনুতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তরুণরা এসব সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনী ভাবনা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জমা দিতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নুরুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম। তিনি বলেন, দেশের সব কাজের সঙ্গেই বর্তমানে আইটি সেক্টর জড়িত। প্রযুক্তির সহযোগিতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ হবে আরো নিপুণ ও সহজ। বর্তমানে বাংলাদেশ এদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৩৫টি দেশে এখন হার্ডওয়্যার পণ্য রফতানি শুরু করছে বাংলাদেশ। এছাড়া ২০২৩ সালে মধ্যে সরকার প্রতিটি জেলায় একটি করে ইনকিউবেটর স্থাপন করবে। উদ্ভাবককে উদ্যোক্তায় পরিণত করতে সব সহযোগিতা করবে ওই ইনকিউবেটর।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নুর আলী খান, জাতীয় কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্য অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বাছাইকৃত প্রায় ২৫ জন দক্ষ মেন্টর এবং সারা দেশ থেকে নির্বাচিত ৫০টি দল মূল হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। সেখান থেকে সেরা ১০টি উদ্ভাবনী ভাবনাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। বিজয়ী ১০টি টিমকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড’ মেকারস ল্যাবে গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ মনিটরিং ও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
