চীনে দেখা দিয়েছে রহস্যময় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এরই মধ্যে মারা গিয়েছে ৫৬ জন। আক্রান্ত হয়েছে দুই সহস্রাধিক। চীনের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। ফলে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে চরম আতঙ্ক। এর প্রভাবে সয়াবিনের সাপ্তাহিক দামে বড় ধরনের ধস দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) সর্বশেষ সপ্তাহে কৃষিপণ্যটির গড় দাম প্রায় ৩ শতাংশ কমে গেছে। তবে এ সময় সিবিওটিতে গমের সাপ্তাহিক গড় দাম বাড়লেও কমেছে ভুট্টার। খবর সিনহুয়া ও এগ্রিমানি।
সিবিওটির প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, সর্বশেষ সপ্তাহে মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি বুশেল (৬০ পাউন্ড) সয়াবিনের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৯ ডলার শূন্য ২ সেন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ কম। এ সময় কৃষিপণ্যটির গড় দাম বুশেলপ্রতি ২৭ দশমিক ৭৫ সেন্ট কমেছে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে প্রথম পর্যায়ের সমঝোতা চুক্তি সই করে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। ফলে চীনের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন রফতানি বাড়বে বলে আশা করা হয়। এ আশা থেকে বাজারে কৃষিপণ্যটির সরবরাহ বাড়ানো হয়। তবে শীর্ষ সয়াবিন আমদানিকারক দেশ চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব হিসাব ওলটপালট করে দিয়েছে। কৃষিপণ্যটির বেচাকেনায় দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এ কারণে সিবিওটিতে সয়াবিনের সাপ্তাহিক গড় দাম প্রায় ৩ শতাংশ কমে গেছে।
এদিকে সিবিওটিতে ভুট্টার সাপ্তাহিক গড় দামেও মন্দা ভাব দেখা গেছে। এ সময় কৃষিপণ্যটির সাপ্তাহিক গড় দাম কমেছে বুশেলে ২ সেন্ট। এ সময় মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি বুশেল ভুট্টার গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৩ ডলার ৮৭ সেন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কম। চীনের বাজারে রফতানি কমার আশঙ্কা কৃষিপণ্যটির দাম কমাতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
তবে সয়াবিন ও ভুট্টার বাজারে মন্দা ভাব বজায় থাকলেও দাম বেড়েছে গমের। সর্বশেষ সপ্তাহে সিবিওটিতে কৃষিপণ্যটির দাম বুশেলে ৩ সেন্ট বেড়েছে। এ সময় প্রতি বুশেল গমের সাপ্তাহিক গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৫ ডলার ৭৩ সেন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০১৯-২০ মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম রফতানি ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। এর জের ধরে কৃষিপণ্যটির সাপ্তাহিক বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।