ভারত-মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক বিরোধ চলছে। এর জের ধরে মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি। এ পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় চিনি পরিশোধন কেন্দ্র ভারত থেকে পণ্যটির আমদানি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। এর ফলে দুই দেশের বিরোধ কিছুটা হলেও প্রশমিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স ও স্টার অনলাইন।
মালয়েশিয়ার বৃহত্তম চিনি পরিশোধন কেন্দ্র এমএসএম মালয়েশিয়া হোল্ডিংস বেরহাদ। প্রতিষ্ঠানটি ভারত থেকে নতুন করে ১ লাখ ৩০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি আমদানির ঘোষণা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ভারত থেকে এ চিনি আমদানি করা হবে। এতে প্রতিষ্ঠানটির
ব্যয় হতে পারে ২০ লাখ রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ান মুদ্রা) বা ৪ কোটি ৯২ লাখ ডলার। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি ভারত থেকে ৮৮ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি আমদানি করেছিল।
কাশ্মীর ইস্যু ও বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের ভারত সরকার বিরোধী অবস্থানের কারণে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ দেখা দিয়েছে। নতুন বছরের শুরুতে মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এর পেছনে সাম্প্রতিক বিরোধ প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। পাম অয়েল রফতানি অব্যাহত রাখতে বিরোধ নিরসনে আলোচনায় বসতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে মালয়েশিয়া। এ পরিস্থিতিতে চিনি আমদানি বাড়ানোর এ উদ্যোগ দুই দেশের বিরোধ নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।