দরপতনের চ্যালেঞ্জে জ্বালানি তেলের বাজার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইরান ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনা চলতি বছরের শুরুতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে জ্বালানি পণ্যটির বাজার পরিস্থিতি ফের নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। এবার দরপতনের পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। ভাইরাস আতঙ্কে চীনে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কমে গেলে আগামী দিনগুলোয় আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বর্তমানের তুলনায় আরো কমতে পারে। খবর অয়েলপ্রাইসডটকম।

এরই মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে বড় ধরনের দরপতন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি ব্যারেল ওয়েস্টটেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৫৪ ডলারের কাছাকাছি নেমে এসেছে। ব্রেন্ট ক্রুড বিক্রি হচ্ছে ব্যারেলপ্রতি ৬১ ডলারের নিচে। গত নভেম্বরের পর এটাই জ্বালানি পণ্যটির সর্বনিম্ন দাম।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সাপ্তাহিক বাজারেও নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। সর্বশেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় শতাংশ কমেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সুলাইমানি হত্যার পর তৈরি হওয়া ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা জ্বালানি তেলের দাম সাময়িক বাড়িয়ে দিয়েছিল। এর পর পরই লিবিয়ার অন্যতম বৃহত্তম তেল খনি থেকে জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার খবরে দাম বাড়তে শুরু করে। তবে  করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি বদলে দেয়।

ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় চীনে বাড়েনি জ্বালানি তেলের চাহিদা। সামগ্রিকভাবে করোনাভাইরাসের কারণে চীনা অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে আসা জ্বালানি তেলের চাহিদা কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলকে নতুন করে দরপতনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন