প্রেম, প্রণয় কিংবা ভালোবাসা—সম্পর্ক যেমনই হোক, এ বাঁধনে আটকা পড়েছেন কালজয়ী সব নর-নারী। প্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্টরাও এর বাইরে নন। প্রেম-ভালোবাসা অতঃপর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, প্রযুক্তি খাতের এমন ক্ষমতাধর দম্পতিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার। এ দম্পতিরা বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থেকে প্রযুক্তি বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাতের ক্ষমতাধর ১৩ দম্পতি নিয়ে আয়োজনের আজ শেষ পর্ব—
শেরিল স্যান্ডবার্গ ও ববি কোটিক
২০০৮ সাল থেকে সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার (সিওও) দায়িত্ব পালন করছেন শেরিল স্যান্ডবার্গ। ২০১৩ সালে প্রকাশিত কর্মজীবী নারীদের নিয়ে লেখা ‘লিন ইন’ বইয়ের জন্য তিনি সুপরিচিত। স্যান্ডবার্গের প্রথম স্বামী ডেভ গোল্ডবার্গ। ২০১৫ সালে ৪৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি। শেরিল-গোল্ডবার্গ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়েসন্তান আছে। গোল্ডবার্গের আকস্মিক মৃত্যুর পর পুরনো বন্ধু এবং ভিডিও গেম কোম্পানি অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ববি কোটিকের সঙ্গে একাধিকবার দেখা গেছে শেরিল স্যান্ডবার্গকে।
মার্ক বেনিওফ ও লিন বেনিওফ
ক্লাউড কোম্পানি সেলসফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক বেনিওফ। মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যাপক পরিচিত তিনি। অন্যদিকে লিন বেনিওফ একটি অলাভজনক জনহিতৈষী প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য। ২০০৬ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যক্তিগত অনেক বিষয় তারা গোপন রেখে চলেন। ২০১৮ সালে যৌথভাবে এ জুটি ১৯ কোটি ডলারে টাইম ম্যাগাজিন কিনে নেয়।
ডেভ মরিন ও ব্রিট মরিন
ফেসবুক প্লাটফর্ম ও ফেসবুক কানেক্ট সৃষ্টিতে সহায়তা করেছিলেন ডেভ মরিন এবং ফটোভিত্তিক অনলাইন প্লাটফর্ম ‘পথ’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। অন্যদিকে ব্রিট মরিন জনপ্রিয় লাইফস্টাইল মিডিয়া কোম্পানি ‘ব্রিট প্লাস কো ডট’-এর প্রতিষ্ঠাতা। অ্যাপলে কর্মরত অবস্থায় এ জুটির প্রথম সাক্ষাৎ হয়। ২০১১ সালে মালদ্বীপে এই জুটির মন দেয়া-নেয়া হয়। পরের বছর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
কেভিন হার্টজ ও জুলিয়া হার্টজ
২০১৬ সালে এ জুটি ‘ইভেন্ট ব্রাইট’ নামে অনলাইন টিকিটিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। কেভিন হার্টজ এ কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং জুলিয়া হার্টজ কোম্পানির সিইওর দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৩ সালে এক বন্ধুর বিয়েতে এ জুটির প্রথম সাক্ষাৎ হয়। ২০১২ সালে বিজনেস ইনসাইডারকে এক সাক্ষাত্কারে জুলিয়া হার্টজ জানান, আমরা জানতাম একসঙ্গে বসবাস শুরুর আগে আমাদের একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইভেন্ট ব্রাইট প্রতিষ্ঠার বছরেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় এ জুটি। এ দম্পতির দুই শিশু সন্তান রয়েছে।
ব্যারি ডিলার ও ডিয়েন ভন ফার্সটেনবার্গ
১৯৯৫ সালে ইন্টারনেট কোম্পানি আইএসি প্রতিষ্ঠা করেন ব্যারি ডিলার। বর্তমানে নিজের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির পাশাপাশি এক্সপেডিয়ার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে ফার্সটেনবার্গ একজন সুপরিচিত ডিজাইনার। সত্তরের দশকে ডিলারের উপস্থাপনায় এক পার্টিতে এ দুজনের পরিচয়। ২০০১ সালে এই জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।
পল গ্রাহাম ও জেসিকা লিবিংস্টোন
জনপ্রিয় স্টার্টআপ অ্যাকসেলেটর প্রোগ্রাম ‘ওয়াই কম্বিনেটর’ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন পল গ্রাহাম ও জেসিকা লিভিংস্টোন। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে উঠে এসেছে ড্রপবক্স, এয়ারবিএনবি এবং স্টাইপের মতো সফল প্রতিষ্ঠান। ২০০৫ সালে ওয়াই কম্বিনেটর প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এ জুটির ঘনিষ্ঠতা। ২০০৮ সালে তারা বিয়ে করেন। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে।
ডিয়েন গ্রিনি ও মেন্ডেল রোসেনলাম
১৯৯৮ সালে ক্লাউড কম্পিউটিং সফটওয়্যার কোম্পানি ভিএমওয়্যার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে এ জুটি। যৌথভাবে তারা বেবপ নামে আরো একটি ক্লাউড স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৫ সালে বেবপ অধিগ্রহণ করে গুগল। গ্রিনি এখন অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের পরিচালক পর্ষদ সদস্যদের একজন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় গ্রিনি ও রোসেনলামের মধ্যে পরিচয়। এ জুটির বিয়ে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাদের দুই সন্তান আছে।