মেয়র হিসেবে ৯ মাস দায়িত্ব পালনের ‘অভিজ্ঞতার আলোকে’ সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা- এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ইশতেহার সাজিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ‘একটি শহরের প্রাণ হচ্ছে পাড়া ও মহল্লাগুলো। সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়তে গেলে প্রতিটি এলাকা, পাড়া, মহল্লাকে আলাদাভাবে নজর দিতে হবে। প্রতিটি এলাকাভিত্তিক সমস্যা শনাক্ত করে সেগুলোর স্থায়ী সমাধানের মধ্য দিয়ে এলাকার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করাটা অত্যন্ত জরুরি। এই এলাকাভিত্তিক পরিবর্তনই নগরীর সামগ্রিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। যার ফলে এই নগরীতে বসবাস করা মানুষগুলো সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।'
‘আমার প্রধান লক্ষ্য, এই নগরীকে কেবল বসবাস উপযোগী নয়, বরং নগরবাসীর জীবনমানের উন্নতি সাধন করা। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উপ-নির্বাচন ২০১৯-এ প্রদত্ত নির্বাচনী ইশতেহারের অধিকাংশ কাজই শুরু হয়ছে। আমার গত ৯ মাসের অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধিকে কাজে লাগিয়ে আগামীর আকাঙ্ক্ষিত ঢাকা গড়ার লক্ষ্য অর্জনে পেশ করছি আমার ত্রিমুখ ইশতেহার।’
তিনি বলেন, 'নগরীর সার্বিক উন্নয়নে আমি কথা দিচ্ছি, আমাকে পুনরায় পূর্ণমেয়াদে নির্বাচিত করলে, লক্ষ্য অর্জনে সাধ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো। সকল উন্নয়ন অগ্রগতির সাথে সমন্বয় ঘটিয়ে ঢাকা শহরের প্রতিটি পাড়া মহল্লার সমস্যার সমাধান করে গড়বো সবার প্রিয় ঢাকা, যে ঢাকা আপনাদের সবার প্রাপ্য।’
আতিকের ‘ত্রিমুখী ইশতেহারের’ প্রথম পয়েন্ট- সুস্থ ঢাকা। এর মধ্য রয়েছে ঢাকাকে পরিষ্কার, রাখা, দখলমুক্ত করা, দূষণ কমানো, নিরাপদ নগরী গড়ে তোলা প্রভৃতি। দ্বিতীয়টি- সচল ঢাকা। এর আওতায় রয়েছে যানজট নিরসন, আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা, নগরীতে পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রভৃতি।
এবং তৃতীয়টি পয়েন্টটি হলো- আধুনিক ঢাকা। এর আওতায় রয়েছে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যা সমাধান, নগরীতে বাজারগুলোর আধুনিকায়ন, সৌন্দর্য বর্ধন, বায়ু দূষণ রোধে ইলেকট্রিক বাস চালু ও স্মার্ট সিটি গড়ে তোলা। এই পয়েন্টে তিনি নিজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জনতার মুখোমুখি হওয়ার কথাও জানিয়েছেন।