বাথরুমে যাওয়ার সময় নেই, ডায়াপার পরছেন উহানের চিকিৎসকরা

বণিক বার্তা অনলাইন

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রায় মহামারী আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর মধ্যে দেখা দিয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জামের সঙ্কট। বাথরুমে যাওয়ার সময় নেই, আবার নিরাপত্তা অ্যাপ্রোন ছিঁড়ে যাওয়ার ভয়েও অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী বড়দের ডায়াপার পরছেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।

উহান শহরকে গত সপ্তাহেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ফলে বিপুল সংখ্যক রোগী সামলাতে হচ্ছে স্থানীয় হাসপাতালগুলোকেই। প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার এ শহরেই প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটে এবং এ শহর থেকেই ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাইরাসের সংক্রমণ এখন রোগী থেকে চিকিৎসক এবং মেডিকেল স্টাফদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। 

সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সঙ্কীর্ণ করিডোরে ঠাসাঠাসি করে অবস্থান করছে রোগী। চিকিৎসকরা মেঝেতে বসে রোগীকে সেবা দিচ্ছেন। 

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তারা বড়দের ডায়াপার পরছেন। কারণ অনেকেরই প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাথরুমে যাওয়ার মতো সময় নেই। আবার তারা সতর্কতা স্বরূপ যে বিশেষ ধরনের অ্যাপ্রোন পরছেন সেটির চরম সঙ্কট চলছে। বারবার বাথরুমে গেলে এটি ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ কারণেও অনেক চিকিৎসক একবারে ডায়াপার পরে নিচ্ছেন। 

অ্যাপ্রোনের পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম যেমন, সার্জিক্যাল মাস্ক, প্রটেকটিভ গগলস এসবেরও তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। 

উহান ইউনিয়ন হসপিটালের একজন চিকিৎসক চীনা সোস্যাল মিডিয়া ওয়েইবোতে লিখেছেন, আমরা জানি, যে অ্যাপ্রোনটি পরে আছি এটিই হয়তো আমার শেষ পোশাক। দ্বিতীয়টি পাওয়ার মতো সরবরাহ নেই। সুতরাং কোনো কিছুই অপচয় করার সুযোগ নেই।

এমনিতেই রোগীর চাপে হিমশিম এর মধ্যে রোগী থেকে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি চিকিৎসা কর্মীদের মধ্যে তীব্র মানসিক চাপও সৃষ্টি করছে। বেইজিং ভিত্তিক থেরাপিস্ট কানডিস কিন ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, রোগী থেকে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন এমন একজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ওই চিকিৎসক একেবারে ভেঙে পড়েছেন। বাড়িতে নিজের ঘরে বন্দি থাকছেন। বাবা-মাকে বলেছেন, তিনি খুব অসহায় ও একা বোধ করছেন।

আরো পড়ুন:

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এইডসের ওষুধ ব্যবহার করছে চীন

১৩ শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে চীন

দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন