নানা অনিশ্চয়তার পর পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যাওয়ার আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাধিকবার বলেছিলেন সব ভুলে জিততে চান তারা। এমনকি সিরিজ জেতার ব্যাপারে ইতিবাচক ছিলেন তিনি। পাশাপাশি সদ্য শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকতাও আশাবাদী করে তুলেছিল সমর্থকদের। কিন্তু জয় দূরে থাক, প্রথম দুই ম্যাচে টি২০ ক্রিকেটের মানসিকতাটুকুই প্রদর্শন করতে পারল না বাংলাদেশ। বিশেষ করে দুটি ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ছিল দৃষ্টিকটূ। যেন লড়াই করার রসদটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন তারা। যে আফিফ, সৌম্য, লিটনরা বিপিএল মাতিয়েছেন, তারা মনে হচ্ছিল ব্যাট করতেই ভুলে গেছেন। ধীরগতিতে হলেও দুই ম্যাচে কিছু রান করে মান বাঁচিয়েছেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ৬৫ রানের ইনিংসটি না খেললে বাংলাদেশের অবস্থা আরো খারাপ হতে পারত। যদিও সেটি ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি। এ হারের পর তাই স্বাভাবিকভাবেই হতাশার সুর শোনা গেছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে।
ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘হারাটা
হতাশাজনক। তামিম ছাড়া আমরা কেউই ব্যাট হাতে ঠিকঠাক খেলতে পারিনি। আমাদের উচিত ছিল ১৫০-১৬০ রান করা। চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কৃতিত্ব দিতে হবে পাকিস্তানের বোলারদের। আমরা শেষটা ভালো করতে পারিনি।’
সিরিজ হাতছাড়া হলেও হোয়াইটওয়াশ বাঁচানোর সুযোগ আছে বাংলাদেশের। সেজন্য অবশ্য শেষ ম্যাচে জিততেই হবে। তবে ম্যাচটিতে কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিলেন মাহমুদউল্লাহ. ‘এখনো
নিশ্চিত না শেষ ম্যাচের জন্য কীভাবে কী করব। সম্ভবত আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। কিন্তু আমাদের আগ্রাসীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং ম্যাচ জিততে হবে।’
অন্যদিকে দারুণ এ জয়ে আনন্দিত পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, ‘আমার
অধিনায়কত্বের কৃতিত্ব দিতে হবে দলে খেলোয়াড়দের ও সিনিয়রদের। বোলাররা আমার জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছে। এ সিরিজ আমাদের অবশ্যই জিততে হতো। আমরা অনেক তরুণ তারকাকে খেলিয়েছি। মূলত বিশ্বকাপের আগে আমরা একাধিক অপশন তৈরি করে রাখতে চাচ্ছিলাম। আমরা সোমবার (পরের ম্যাচে) সেই খেলোয়াড়দের সুযোগ দেব, যারা এখনো সুযোগ পায়নি।’