সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়াবে ভারত

বণিক বার্তা ডেস্ক

চীন অন্যান্য দেশ থেকে আমদানীকৃত প্রায় হাজার ৬০০ কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্যের শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে ভারত। সরকারি কর্মকর্তা শিল্প সূত্রের তথ্য অনুসারে ইলেকট্রনিক বৈদ্যুতিক পণ্য, রাসায়নিক হস্তশিল্পসহ ৫০টির বেশি পণ্যের আমদানির শুল্ক বাড়াবে ভারত। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের সময় আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে পারেন বলে এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতের পতনমুখী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অন্যান্য প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিষয়সংশ্লিষ্ট দুই সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোন চার্জার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রাসায়নিক, বাতি, কাঠের আসবাব, মোমবাতি, গহনা হস্তশিল্পের মতো পণ্যগুলোর ওপর উচ্চ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। 

সরকারের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির পদক্ষেপের ফলে চার্জার বা অন্যান্য পণ্য আমদানিকারক স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারাররা ক্ষতির মুখে পড়বে। এছাড়া আইকিয়ার মতো যেসব খুচরা জায়ান্ট ভারতের বাজারের পদচারণা বিস্তৃত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, সেগুলোও বড় ধাক্কা খাবে। এর আগেও ভারতের উচ্চ আমদানি শুল্ককে বড় চ্যালেঞ্জ বলে অনুযোগ করেছিল আইকিয়া।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বাণিজ্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এক প্যানেলের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার পণ্য নির্বাচন আমদানি শুল্ক -১০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি কমানো। শুল্ক বৃদ্ধি করা হলে চীন, আসিয়ান অন্যান্য দেশের সস্তা আমদানির মুখে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচারাররা প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ পাবে। এই দেশগুলো ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির সুবিধা নিয়ে দেশে সস্তা আমদানি করছে।

এদিকে শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০১৪ সালে প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর সস্তা আমদানি রোধে বেশকিছু নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে ম্যানুফ্যাকচারিং, প্রতিরক্ষা অন্যান্য খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্টের পদক্ষেপ নিয়েছেন।

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স সেলের প্রধান গোপাল কৃষ্ণান আগারওয়াল বলেন, এবারের বাজেট প্রস্তাবে মুক্ত বাণিজ্যের অধীনে সস্তা আমদানির বিষয়টি আলোচনা করা হবে বলে আমরা আশা করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন