৯ মাসে ভারতের রফতানি কমেছে ২৭ শতাংশ

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারত থেকে রফতানি হওয়া চালের অন্যতম শীর্ষ বাজার ইরান। ইরানের ওপর চলছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা। ফলে প্রয়োজনীয় ডলার হাতে না থাকায় দেশটি থেকে রফতানি হওয়া চালের অর্থ পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে ইরান। পরিস্থিতিতে ইরানে কৃষিপণ্যটি রফতানিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। আর এতেই চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (এপ্রিল-নভেম্বর) ভারতের মোট চাল রফতানি ২৭ শতাংশ কমে গেছে। খবর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস রয়টার্স।

প্রতি বছরের এপ্রিল থেকে ভারতে নতুন অর্থবছর শুরু হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৫৫ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম। ওই সময়ে দেশটি থেকে মোট ৭৫ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছিল। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে ভারত থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি ২০ লাখ টন কমেছে। এদিকে চালের রফতানি কমলেও খাতে দেশটির আয় বেড়েছে ১৯ শতাংশ।

বরাবরই ভারতীয় বাসমতী চালের শীর্ষ ক্রেতা ইরান। দেশটি থেকে মোট রফতানি হওয়া বাসমতী চালের এক-তৃতীয়াংশ কেনে ইরান। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ভারত থেকে সব মিলিয়ে লাখ টন বাসমতী চাল কিনেছে ইরান। আগের অর্থবছরের একই সময়ে পণ্যটি রফতানির পরিমাণ ছিল নয় লাখ টন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জেরে ভারতকে পণ্যটি ক্রয়ের বকেয়া অর্থ প্রদান করতে এখনো সক্ষম হয়নি ইরান। এরই মধ্যে ইরানের কাছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পাওনা দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। পরিস্থিতি ইরানের সঙ্গে পণ্যটির লেনদেনে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীরা।

অল ইন্ডিয়া রাইস অ্যাসোসিয়েশনের (এআইআরইএ) সভাপতি নাথি রাম গুপ্তা জানান, তারা এখন সংকটজনক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরানের বাজারে বাসমতী চাল রফতানি সম্ভব নয়। বাজার অবস্থা সুস্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত সদস্যদের ইরানে চল রফতানি না করার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইরানের কাছে প্রাপ্ত অর্থ পরিশোধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন