চাল

৩ মাসে ৯ লাখ টন রফতানি মিয়ানমারের

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমারে শুরু হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছর। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ( অক্টোবর-২৭ ডিসেম্বর) দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় নয় লাখ টন চাল (ভাঙা চালসহ) রফতানি হয়েছে। খাদ্যপণ্যটি রফতানি বাবদ সময়ে দেশটির আয় ২৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন (এমআরএফ) সম্প্রতি তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর ইলেভেন মিয়ানমার এগ্রিমানি।

এমআরএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের অক্টোবর-২৭ ডিসেম্বর সময়ে মিয়ানমার থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে লাখ ৯৪ হাজার ৮৮৯ টনের বেশি চাল রফতানি হয়েছে। সময় চাল রফতানি করে দেশটি মোট ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ৫২ হাজার ডলার আয় করেছে।

সময় মিয়ানমার থেকে সব মিলিয়ে লাখ ৯০ হাজার টন ভাঙা চাল রফতানি হয়েছে। দেশটির রফতানিকারকরা ৪৫টি দেশে ভাঙা চাল রফতানি করেছেন। তাদের আয় দাঁড়িয়েছে কোটি ৫০ লাখ ডলারে। একই সময়ে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ছয় লাখ টন অন্যান্য জাতের চাল রফতানি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৩টি দেশে অন্যান্য জাতের চাল রফতানির মাধ্যমে মিয়ানমারের রফতানিকারকরা ১৮ কোটি ডলার আয় করেছেন। সময় মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে আফ্রিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় চাল রফতানি হয়েছে। দেশটির রফতানিকারকরা সড়কপথে চীনে চাল রফতানি করেছেন।

এমআরএফ জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মিয়ানমার থেকে চাল রফতানি রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। ওই সময় দেশটি সব মিলিয়ে ৩৬ লাখ টন চাল রফতানি করেছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ২৩ লাখ ৫৫ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছে। সময় মিয়ানমারের রফতানিকারকরা চাল রফতানি করে প্রায় ৭১ কোটি ডলার আয় করেছিলেন। চলতি অর্থবছরে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি আগের অর্থবছরের পরিমাণ ছাড়িয়ে যেতে পারে। বাড়তে পারে চালের রফতানি আয়ও।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন