উদ্যোক্তা হতে হলে নিজের ইচ্ছাশক্তি, সততা
আর পরিশ্রম দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কোনোভাবেই পিছপা হলে চলবে না। যত বাধা আসুক
না কেন, তা জয় করতে হবে। গতকাল চায়না বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাবের আয়োজনে ‘ফিউচার
অন্ট্রাপ্রেনিউর সামিট-২০২০’-এ এসব কথা বলেন বক্তারা।
‘আজকের উদ্যোক্তারাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কারিগর’ স্লোগান সামনে
রেখে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ধানমন্ডির ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টারে প্রায় আড়াই
হাজার তরুণের অংশগ্রহণে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক তরুণদের উদ্দেশে বলেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে পিছিয়ে যাওয়ার
সুযোগ নেই। জীবনে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। উদ্যোক্তা হতে হলে ব্যাংক টাকা ধার দেবে
না, সবার
দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়, কারো কাছ থেকে সুযোগটা পাচ্ছেন না—এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবেই, তবুও
এগিয়ে যেতে হবে। চীনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, চীনারা দ্রুত নিজেদের বদলে নিয়েছে।
তারা খুব দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে। আমরা তার ধারেকাছেও যেতে পারি না। কারণ তাদের
ফ্লেক্সিবিলিটি অন্য রকম। কারণ তারা জানে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে
আলস্য রয়েছে। আলস্যের সংস্কৃতি আমরা তৈরি করছি। যে কারণে আমরা দ্রুত পরিবর্তন করতে
পারছি না। আমরা এমন একটা অদ্ভুত সংস্কৃতি তৈরি করছি, যেখানে সবাই তেলা মাথায় তেল দেন।
উদ্যোক্তা সম্মেলনে সংসদ সদস্য
মোজাফফর হোসাইন (সিআইপি) তরুণদের উদ্দেশে বলেন,
উদ্যোক্তা হতে হলে অধ্যবসায়, পরিশ্রম, ধৈর্য
ও সততা থাকতে হবে। অসৎ উপায়ে যারা টাকা উপার্জন করেন, তারা
সেটি বেশি দিন ধরে রাখতে পারেন না।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের
উপসচিব এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবুল
খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ খান উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কী কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, সেগুলো
তুলে ধরেন। এছাড়া কীভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা পরামর্শ, প্রশিক্ষণ
ও ঋণ নিতে পারবেন, সেসব বিষয় তুলে ধরেন।
এর আগে সকালের সেশনে চায়না বাংলাদেশ
বিজনেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মো.
আবদুল মোমেন বাংলাদেশের পণ্য বিশ্ববাজারে কীভাবে
তুলে ধরা যায়, সে বিষয়ে বক্তৃতা করেন।
সামিটে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ
উইম্যান চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমেদ, বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাফর উদ্দিন, চ্যানেল আই ডিরেক্টর শাইখ সিরাজ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর
রহমান, এমএমই ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।