চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) দুলামিয়া
কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা, আগের
হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ২৮ পয়সা। এ হিসাবে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয়
মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ১ টাকা ২১ পয়সা বা ৫৩ দশমিক শূন্য ৭
পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির
শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৭ পয়সা,
আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১২
পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৯৯ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য
শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি দুলামিয়া কটন। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির
শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ২৮ পয়সা,
আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ৪
পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ৯৭ পয়সা, আগের
হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩২ টাকা ৬৯ পয়সা। লোকসানের কারণে গত পাঁচ হিসাব বছরেই কোনো
লভ্যাংশ দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৬৪ টাকা। সমাপনী দর ছিল ৬৩ টাকা
৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৩০ টাকা থেকে ৬৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা
করেছে।
তিন দশকের বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত
দুলামিয়া কটন সুতা উৎপাদন করে,
যা মূলত স্থানীয় বস্ত্র শিল্পেই ব্যবহার হয়।
মাল্টিমুড গ্রুপের এ প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আসে ১৯৮৯ সালে। কোম্পানির অনুমোদিত
মূলধন ৩০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। নিরীক্ষিত
প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান ৩৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এ কোম্পানির
৭৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০টি শেয়ারের মধ্যে ২১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা-পরিচালক, ৩
দশমিক ৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ সাধারণ
বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।