‘দেশের সব চ্যানেলেরই উচিত সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি দেখানো’—এ
মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.
মুরাদ হাসান। বৃহস্পতিবার সিসিমপুরের ১২তম
মৌসুমের উদ্বোধনী আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরো
বলেন, ‘শিশুদের ভারী ভারী বইয়ের বোঝার হাত থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সিসিমপুরের
মতো আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়ার অনুষ্ঠান বেশি বেশি হওয়া উচিত।’
বিভিন্ন স্কুলের শিশু এবং তাদের
অভিভাবকদের উপস্থিতিতে রাজধানীর বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ
সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা
অফিসের পরিচালক জারসেস সিধওয়া,
সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, গণমাধ্যম
ব্যক্তিত্ব খ. ম. হারুন, আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু, জ. ই. মামুন, দুরন্ত
টেলিভিশনের সিইও অভিজিৎ চৌধুরী,
অনুষ্ঠানপ্রধান আলী হায়দার এবং সিসিমপুরের
নির্বাহী প্রযোজক মনোয়ার শাহাদাত দর্পণ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে দ্বাদশ মৌসুমে মজার
মজার কিছু গল্প নিয়ে উপস্থিত ছিল সিসিমপুরের জনপ্রিয় টুকটুকি, হালুম, ইকরি
ও শিকু। এবারের মৌসুমের উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় সহনশীলতা ও বৈচিত্র্য। এছাড়া আছে
স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও মৌলিক দক্ষতা নিয়ে দারুনসব গল্প।
ইউএসএআইডির আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত
সিসিমপুর। তিন থেকে আট বছর বয়সী বাংলাদেশী শিশুদের জন্য এটি একটি প্রাক-শৈশব শিক্ষা
কর্মসূচি। সিসিমপুরের দ্বাদশ মৌসুম দুরন্ত টিভিতে দুপুর সাড়ে ১২টা ও বিকাল সাড়ে
৫টায় প্রচার হয়।