চলতি মৌসুমে দেশে অতিরিক্ত দুটি চায়ের
নিলাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে প্রতি বছর দেশে নিয়মিত ৪৫টি
আন্তর্জাতিক চা নিলাম অনুষ্ঠিত হতো। তবে চলতি মৌসুমে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন রেকর্ড
বেড়েছে। ফলে বেড়েছে নিলাম ফেরত চায়ের পরিমাণ। এতে বাড়তি চা বিক্রির উদ্দেশ্যে
অতিরিক্ত দুটি নিলাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে টি সেলস কো-অর্ডিনেশন
কমিটি। অর্থাৎ ২০১৯-২০ মৌসুমে দেশে পানীয় পণ্যটির নিলাম বেড়ে ৪৭-এ উন্নীত হতে যাচ্ছে।
আগামী ১৬ ও ২৩ মার্চ চট্টগ্রামে অতিরিক্ত দুটি নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
টি সেলস কো-অর্ডিনেশন
কমিটির সিদ্ধান্ত সূত্রে জানা গেছে,
আগামী ১০ মার্চ ২০১৯-২০ মৌসুমের সর্বশেষ নিলাম (৪৫তম) অনুষ্ঠিত
হওয়ার কথা ছিল। তবে দেশে এ মৌসুমে প্রত্যাশার তুলনায় চায়ের উৎপাদন বেড়েছে। বাড়তি উৎপাদনের
কারণে নিলাম ফেরত চায়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এছাড়া মৌসুমের শেষ দিকে এসে পণ্যটির উৎপাদন
বৃদ্ধি পাওয়ায় নিলামগুলোয় আগের তুলনায় উদ্বৃত্ত চায়ের পরিমাণ বেড়েছে। এসব উদ্বৃত্ত
চা বিক্রির উদ্দেশ্যে বাড়তি দুটি নিলাম চালানোর ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর
এক মাস বিরতি দিয়ে পরবর্তী নিলাম মৌসুম
(২০২০-২১) শুরু হবে।
২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল চলতি মৌসুমের
প্রথম নিলাম শুরু হয়। এর আগে চায়ের আন্তর্জাতিক নিলাম শুধু চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত
হতো। তবে দুই বছর ধরে চট্টগ্রাম ও শ্রীমঙ্গলে যৌথভাবে পণ্যটির আন্তর্জাতিক নিলাম
অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ প্রতি মাসের একটি নিলাম শ্রীমঙ্গলে আয়োজন করছে চা
বোর্ড। সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি চলতি নিলাম মৌসুমের ৩৮তম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিলাম
সংখ্যা বাড়ানোর ফলে চলতি মৌসুমের উদ্বৃত্ত চা বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা করছেন চা
বোর্ডসংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালে দেশে রেকর্ড চা উৎপাদন হয়েছে। এ সময় ৭ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার কেজি উৎপাদনের
লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দেশের ১৬৭টি বাগান থেকে সব মিলিয়ে ৯ কোটি ৭০ লাখ কেজি সংগ্রহ
করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার কেজি বেশি।