তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,
বিশ্ব গণতান্ত্রিক সূচকে বাংলাদেশের আট ধাপ অগ্রগতি প্রমাণ করে, দেশে গণতন্ত্রচর্চা নিয়ে সমালোচনাকে অন্তঃসারশূন্য। গতকাল রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চতুর্থ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দি ইকোনমিস্ট পত্রিকার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সদ্য প্রকাশিত বিশ্ব গণতান্ত্রিক সূচক-২০১৯-এ বাংলাদেশের আট ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উপরে। এতে প্রমাণ হয়, দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে সমালোচনা অন্তঃসারশূন্য। তবে নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে এক্ষেত্রে আরো অগ্রগতি হতো।
হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের গণহত্যা মামলায় দেয়া রায়ের চারটি বিশেষ অংশের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রথমত মিয়ানমার আর কোনোভাবেই ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ ভঙ্গ করবে না। দ্বিতীয়ত, মিয়ানমারের সেনা বা অন্য কোনো বাহিনী কোনোভাবেই আর গণহত্যা বা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হবে না বা প্ররোচনা দেবে না। তৃতীয়ত, পূর্বে সংঘটিত সব গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে এবং আগামী চার মাস পর আদালতের আদেশ পালনের ‘কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট’ দাখিল করতে হবে, যা পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রতিবেদন দাখিল অব্যাহত রাখতে হবে।
আন্তর্জাতিক আদালতের এ রায়কে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার প্রতিষ্ঠার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, মিয়ানমার তাদের দেশ থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে দ্রুত ফিরিয়ে নেবে এবং পূর্ণ নাগরিকত্ব দেবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত দুর্নীতি সূচকের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ সূচকে দেশের তিন ধাপ অগ্রগতি এটাই প্রমাণ করে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সুশাসন বিরাজ করছে এবং সুশাসনের পথে এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।