কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর নৈশপ্রহরী হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার এ দুজনকে গ্রেফতারের পর গতকাল বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
গ্রেফতার দুজন হলেন জেলার চান্দিনা উপজেলার মাদুল মিয়ার ছেলে মোফাজ্জেল ওরফে মোয়াজ্জেম (২৪) এবং একই উপজেলার নাওতলা গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সানাউল্লাহ (২০)। হত্যাকাণ্ডের ১০ দিনের মাথায় ঘটনায় জড়িত এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত বঁটি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোয়াজ্জেম ও সানাউল্লাহ দুজনই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। ১২ জানুয়ারি রাতে চা খাওয়ার জন্য নৈশপ্রহরী নাছিরের দোকানে যান সানাউল্লাহ। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মোয়াজ্জেম। এ সময় সম্প্রতি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের কারণে সামাজিক বিচারে সানাউল্লাহর জরিমানা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তাকে তিরস্কার করেন নৈশপ্রহরী নাছির উদ্দিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোয়াজ্জেমের সহায়তায় দোকানে থাকা বঁটি দিয়ে নাছিরের মাথায় কোপ দেন সানাউল্লাহ। এ সময় আত্মরক্ষার্থে নাছির দৌড়ে মহাসড়কে ছুটে গেলে গাড়িচাপায় সে ঘটনাস্থলে মারা যান। সারা রাত নাছিরের মরদেহের ওপর দিয়ে গাড়ি চলার কারণে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে নাছিরের শরীরের বিভিন্ন অংশ। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা তৈরি হয়।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জেলার চান্দিনা উপজেলার নাওতলায় প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা থেকে নৈশপ্রহরী নাছির উদ্দিনের টুকরো টুকরো হাড়সহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মরদেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রবিউল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
