চীনা চলচ্চিত্রের বাজারে করোনা ভাইরাসের প্রভাব

সপ্তাহে ক্ষতি ১০০ কোটি ডলার

ফিচার ডেস্ক

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় চীনে নতুন বছর উপলক্ষে ছবি মুক্তি স্থগিত হয়ে গেছে। অথচ চীনের নতুন চন্দ্র বছরের প্রথম সপ্তাহটি দুনিয়ার চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার। এই এক সপ্তাহে চীনের বক্স অফিসে যোগ হয় প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। করোনা ভাইরাসের কারণে রকম একটি সপ্তাহ থেকে এবার বঞ্চিত হচ্ছে চীনের বক্স অফিস। 

আগামীকাল চীনা বর্ষের প্রথম দিন। এদিনই ২০২০ সালের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত চীনা ছবিগুলো মুক্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ছবিগুলো হল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সপ্তাহে চীনা বক্স অফিস ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

বেইজিংয়ের পরিবেশক এবং প্রদর্শকরা হলিউড রিপোর্টারকে জানিয়েছে, চীনের বড় স্টুডিওগুলো স্বেচ্ছায় ছবিগুলোর মুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে চীনের চিকিৎসকরা তাদের নাগরিকদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। আর সিনেমা হলগুলোতে যেহেতু মানুষের ভিড় হয়, তাই সংশ্লিষ্টরা আপাতত ছবি মুক্তি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শনিবার যেসব ছবি মুক্তির তালিকায় ছিল, তার মধ্যে আছে ওয়ান্ডার কেমডি অ্যাকশন সিক্যুয়াল ডিটেক্টিভ চায়নাটাউন থ্রি, হুয়ানজি মিডিয়ার কমেডি লস্ট ইন রাশিয়া, খেলা নিয়ে বড় ছবি লিপ, দান্তে লামের অ্যাকশন ছবি দ্য রেসকিউ, ফ্যামিলি অ্যানিমেশন বুনি বিয়ারস: দ্য ওয়াইল্ড লাইফসহ আরো কয়েকটি ছবি। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে চীনে হলিউডের ছবি মুক্তি দেয়া হয় না। গত বুধবার পর্যন্ত নতুন বছরের ছবিগুলোর জন্য কোটি ২০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যমানের টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।

চীনের বেশ কয়েকটি স্টুডিও আজ এবং আগামীকাল তাদের ছবিগুলোর মুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরপর কয়েকটি ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের আক্রমণে চীনে ৬০০ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ১৭ জন মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে এবং কারণে পুরো শহর লক-ডাউন করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন