পি কে হালদারের দুর্নীতি

পিপলস লিজিংয়ের তিন পরিচালককে দুদকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক

এনআরবি গ্লোবাল রিলায়েন্স ফিন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

এদের মধ্যে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের পরিচালক ভাইস চেয়ারম্যান মো. নিজামুল আহসানকে আগামী ২৭ জানুয়ারি এবং অন্য দুই পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা মো. ইউসুফ ইসমাইলকে ২৮ জানুয়ারি তলব করেন ওই অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ, তিনি রিলায়েন্স ফিন্যান্সের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তার আত্মীয়স্বজনকে আরো বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানির ইনডিপেনডেন্ট পরিচালক বানান এবং একক কর্তৃত্বে অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে পিপলস লিজিংসহ বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানির টাকা বিভিন্ন কৌশলে বের করে আত্মসাৎ করেন। পিপলস লিজিংয়ে আমানতকারীদের হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে আত্মসাৎ করে কোম্পানিটিকে এক প্রকার পথে বসিয়েছেন পি কে হালদার। তিনি এসব কোম্পানির স্থাবর সম্পদ বিক্রি করে দেন এবং আমানতকারীদের পোর্টফোলিও থেকে শেয়ার বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের তিন পরিচালককে তলব করেছে দুদক।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, পি কে হালদারের অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে পিপলস লিজিংয়ের পর্ষদ সদস্যদের নাম বিস্তারিত তথ্যাদি, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কোটি বা তদূর্ধ্ব ঋণ দেয়া হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিদের তথ্যাদি ঋণের বর্তমান পোর্টফোলিও, অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, ২০১০ সাল থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের ওপর ইন্টারনাল বা এক্সটারনাল অডিট প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছে দুদক। বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর আগে জানুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বাইরেও অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বড় একটি অংশ পাচারও করেছেন প্রশান্ত হালদার। ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী হলেও ব্যক্তিগত নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে বিভিন্ন সময়ে হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা জমা করেছেন তিনি, যা পাচার হয়েছে বলে মনে করছে দুদক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন