বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর আজ শুরু হচ্ছে রাজধানীর হাতিরঝিলে অবস্থিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কার্যক্রম। সকাল ১০টায় ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী রেজাউল করিম। গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন গতকাল তথ্য জানিয়েছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার গ্রুপ কোটি লাখ টাকায় ভবনটি ভাঙার কাজ করবে। সনাতন পদ্ধতিতে এটি ভাঙা হবে। শুরুতে ভবন ভাঙতে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকলেও কন্ট্রোল ডিমোলেশন বা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি ব্যবহারের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান না থাকায় সে পরিকল্পনা থেকে সরে আসে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)

গত ১৭ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজউক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভবন ভাঙার কাজে পারদর্শী আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে হবে। ভবনটি ভেঙে তিন মাসের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। এজন্য কোনো অর্থ দেবে না রাজউক। যারা ভবন ভাঙবে, তারাই জিনিসপত্র কেনার দরপত্র দাখিল করতে পারবে। ভবন ভাঙার সময় যদি কোনো ব্যক্তি আহত বা নিহত হন, সে দায়ভার রাজউক নেবে না।

সর্বশেষ গত বছরের ১২ এপ্রিলের মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভবন সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সময় পার হওয়ার পর নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত বছরের ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভবনটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় রাজউক।

২০০৬ সালের দিকে হাতিরঝিলে বিজিএমইএর ১৬ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। জলাশয়ে ভবনটি নির্মাণ করায় শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবেশবাদীরা। পরে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। বিজিএমইএ ভবন অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয় গত ১২ এপ্রিল। এর আগে ২০১৮ সালের এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে বিজিএমইএকে আরো বছর ১০ দিন সময় দেন।

২০১১ সালের এপ্রিল এক রায়ে বিজিএমইএ ভবনটিকে হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো উল্লেখ করেন হাইকোর্ট। রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ, যা ২০১৬ সালের জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। এদিকে ঢাকার উত্তরায় ১১০ কাঠা জমির ওপর ১৩ তলা নতুন ভবন তৈরি করছে বিজিএমইএ। সম্প্রতি ভবনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন