পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ব্যবসা করা অধিকতর সহজ ও লাভজনক। তবে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে হলে অবশ্যই তাকে সৎ ও সাহসী হতে হবে এবং ব্যাংকের ঋণ ও অর্থ আত্মসাতের চিন্তা পরিহার করতে হবে।
শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গতকাল স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) আয়োজিত ‘শিল্প-শিক্ষায়তন সংযোগ উন্নয়ন’
শীর্ষক বক্তৃতামালা অনুষ্ঠিত হয়। সিরিজ বক্তৃতার দ্বিতীয় পর্বে ‘শিক্ষিত তরুণের পেশাগত চ্যালেঞ্জসমূহ’
শীর্ষক সেশনে মূল বক্তা ছিলেন ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
আইবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, শিক্ষিত তরুণকে পেশা পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগোতে হবে। চেষ্টা করতে হবে নিজের শিক্ষাগত পটভূমি ও ব্যক্তিগত আগ্রহের সঙ্গে মিলিয়ে তা ঠিক করা। তিনি বলেন, মানসম্পন্ন গুণগত শিক্ষা ভিত্তিই হচ্ছে পেশাগত ক্ষেত্রে সফল হওয়ার মূল শর্ত। তা সেটি চাকরি বা উদ্যেক্তা যা-ই হোক না কেন।
এসইউবি শিক্ষর্থীদের উদ্দেশে পরামর্শমূলক বক্তব্যে মাতলুব আহমাদ বলেন, চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করো, যা বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বচ্ছলতা এনে দিতে পারে। একই সঙ্গে এ প্রক্রিয়ায় বহু মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশের ক্রেতা ও ভোক্তারা খুবই অল্পে তুষ্ট উল্লেখ করে মাতলুব আহমাদ বলেন, পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ব্যবসা করা অধিকতর সহজ ও লাভজনক। তবে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে হলে অবশ্যই তাকে সৎ ও সাহসী হতে হবে, ব্যাংকের ঋণ ও অর্থ আত্মসাতের চিন্তা পরিহার করতে হবে। আর বাড়তি মুনাফা করলে সরকারকেও বাড়তি কর দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তিনি নিটল-নিলয় গ্রুপের ২০ হাজার শিক্ষিত তরুণের কর্মসংস্থান প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার জন্য এসইউবি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম শাহজাহান মিনা বলেন, পৃথিবীজুড়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ঘটছে এবং সে ধারাবাহিকতায় কর্মবাজারের ধরন ও চাহিদাতেও নানা পরিবর্তন যুক্ত হচ্ছে। এসইউবি চেষ্টা করছে, অনিবার্য এসব পরিবর্তনজনিত বাজার চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবির ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক (সিডিসি) আবু তাহের খান। এছাড়া এসইউবির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
