সেরার বিপক্ষে সেরাটা চান মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পার্থক্যটা খুবই স্পষ্ট। টি২০ ফরম্যাটে র্যাংকিংয়ে পাকিস্তান এক নম্বর দল। আর বাংলাদেশের অবস্থান নম্বরে। র্যাংকিং বলছে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে নিরঙ্কুশ ফেভারিট স্বাগতিক পাকিস্তান। স্বাগতিকদের সেরা দল হিসেবে মেনে নিলেও ছেড়ে কথা বলতে নারাজ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাঠের খেলায় সেরাটা দিয়ে ব্যবধান ঘোঁচানো সম্ভব বলেই মনে করছেন তিনি। পাকিস্তান সফরের আগে গতকাল ছিল বাংলাদেশ দলের শেষ অনুশীলন। গতকালই প্রথম অনুশীলনে আসেন মাহমুদউল্লাহ।

আসন্ন পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা নিয়ে গতকাল মিরপুরে মাহমুদউল্লাহ জানান, ‘ওরা এক নম্বর। আর আমরা নয় নম্বরে। টি২০ ক্রিকেটে পাকিস্তান খুবই শক্তিশালী দল। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে আসছে। তবে র্যাংকিংয়ে ওরা কোথায় আর আমরা কোথায় আছি, এসব নিয়ে ভাবার কিছু নেই। আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। আমরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তবে আশা করা যায় সিরিজ জিতব।

তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সাম্প্রতিক সময়টা পাকিস্তানের মোটেও ভালো যাচ্ছে না। ফরম্যাটে সর্বশেষ দুটো সিরিজেই হেরেছে দলটি। ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবেছে পাকিস্তান। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে - ব্যবধানে সিরিজে হেরেছে নাম্বার ওয়ানরা। প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মাহমুদউল্লাহ জানান, পাকিস্তান খুবই শক্তিশালী দল। যদিও গত কয়েকটি সিরিজে তারা খারাপ করেছে। তারা শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজে হেরেছে। আমি মনে করি, নিয়ে তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন। তবে আমরা নিজেদের ভালো খেলার ওপরই বেশি জোর দিচ্ছি।যোগ করেন, ‘আমাদের স্কোয়াডে সবাই ফর্মে আছে। সবে শেষ হওয়া বিপিএলে সবাই ভালো খেলেছে। আমাদের সামর্থ্য কাজে লাগাতে পারলে সিরিজ জেতা সম্ভব বলেই মনে করছি।

পাকিস্তান সফরের দলটি বেশ অনভিজ্ঞ। নিষেধাজ্ঞার কারণে দলে নেই বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের প্রধানতম স্তম্ভ মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের দলে পাকিস্তান সফরের অভিজ্ঞতা আছে কেবল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আর ওপেনার তামিম ইকবালের। তাই সফরে দুজনকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করছেন মাহমুদউল্লাহ। তার কথায়, ‘তামিম আর আমি দুজনই অনুভব করছি আমাদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। টপ অর্ডারে তামিমের অভিজ্ঞতা খুবই কাজে আসবে। মুহূর্তে তামিম বেশ ছন্দে আছে। বিপিএলে যথেষ্ট রানও পেয়েছে। আমি একটু নিচের দিকে নামব। আমিও চেষ্টা করব প্রত্যাশা পূরণের।

পাকিস্তান সফরে নিরাপত্তা ইস্যু সবচেয়ে বেশি আলোচিত। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েই এই সফরে যাচ্ছেন না মুশফিক। তার সঙ্গে আবার আত্মীয়তার সম্পর্ক মাহমুদউল্লাহর। সম্পর্কে দুজন ভায়রা ভাই। পরিবার থেকে অনুমোদন না মেলায় সফরে যাচ্ছেন না, বলেছেন মুশফিক। তাহলে মাহমুদউল্লাহকে কেন তার পরিবার পাকিস্তান সফরের যেতে বাধা দেয়নি, স্বভাবতই উঠেছে এসব কথাও। নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের ভাষ্য, ‘শুরুতে পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত নেয়াটা আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল। পরিবারও চিন্তিত ছিল। পরে রাজি হয়েছে। এটা আমার জন্য স্বস্তির। তবে মুশফিকের সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি। কেননা পরিবারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু হতে পারে না।এখন আর নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছেন না বলেও জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। মাঠের খেলার প্রতিই বেশি মনোযোগী হতে চান অধিনায়ক।

তিন দফার পাকিস্তান সফরে আজ রাত ৮টায় লাহোরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলের। প্রথম দফায় তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজ খেলে দেশে ফিরবে টাইগাররা। ২৪ জানুয়ারি লাহোরে প্রথম টি২০ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন