পাবনায় ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে পুলিশের সামনে মারধর

তদন্ত কমিটি গঠন, গ্রেফতার ২

বণিক বার্তা প্রতিনিধি পাবনা

পাবনায় ধর্ষণ মামলার এক সাক্ষীকে পুলিশের সামনেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পাবনা থানার মালিগাছা ইউনিয়নের গাছপাড়ায় ঘটনা ঘটেছে। আহত যুবকের নাম আব্দুল আলীম। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, ঘটনায় পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) শামিমা আকতারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে আহত যুবক আব্দুল আলীমের স্ত্রী রুমা খাতুন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মনোহরপুর গ্রামের মো. তোফাজ্জল হোসেন মো. আশরাফ প্রামাণিক।

আহত যুবক আব্দুল আলীম জানান, মালিগাছা ইউনিয়নের একটি ধর্ষণ মামলার বিষয়ে কথা বলতে তাকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গাছপাড়া মোড়ে ডেকে নেন পাবনা থানার ওসি (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম। সময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল এক দল সন্ত্রাসী। কিছুক্ষণ কথা বলার পরই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মালিগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরিফের ছোট ভাই আরিফুলের লোকজন আমার ওপর হামলা চালায়। পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়িভাবে লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে পেটাতে শুরু করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। সময় পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম একজন সিপাহি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারা আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি।

ব্যাপারে বক্তব্য জানতে কার্যালয়ে গেলে ওসি (তদন্ত) খাইরুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি।  তিনি একটি মামলায় রাজশাহী সাক্ষ্য দিতে গেছেন বলে পাবনা থানার ওসি নাসিম আহম্মেদ জানান।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস হামলার ঘটনাকে আকস্মিক অনাকাঙ্ক্ষিত দাবি করে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার গাফিলতি আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন