কলেজ শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ভালুকা থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
এর আগে ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ (৪৫), ইমরান
আলী (৩৩), নাজমুল
(২৫), মানিক
(২৮) ও আবিরের (২৫) নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক তালুকদারকে লাঞ্ছিত করেন ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেন। মামলার বাদী হুমায়ুন কবীর ওই পোস্টটি শেয়ার করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাদীকে মারধর করেন। এতে বাদীর ডান কান মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি কোনো মারামারির সঙ্গে জড়িত নই। মামলার অভিযোগ দেখে পদক্ষেপ নেব। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গতকাল বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ বিষয়ে ভালুকা থানার ওসি মাঈন উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কোনো কাগজ আমাদের কাছে আসেনি।