শার্শায় গৃহবধূ ধর্ষণে পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত নন: পিবিআই

বণিক বার্তা প্রতিনিধি যশোর

যশোরের শার্শায় ঘুষ দাবির পর আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)

গতকাল দুপুরে জেলা পিবিআই অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর গভীর রাতে শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুরে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনায় সেপ্টেম্বর রাতে শার্শা থানায় মামলা করা হয়। প্রায় চার মাস ধরে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ তদন্ত করা হয়। বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী গ্রেফতার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পিবিআইয়ের কর্মকর্তা জানান, তদন্তে পুলিশ জানতে পারে স্বীকারোক্তি প্রদানকারী বাদীকে প্রলোভন দেখান যে মাদক মামলা থেকে তার স্বামীকে মুক্ত করে দিতে পারবেন। ঘটনার দিনও সেলফোনে বাদী ওই আসামিকে ফোন করেন। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাদী এসআই খায়রুল আলম নামে যাকে সন্দেহ করে অভিযুক্ত করেন, তিনি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তার ফোন, কললিস্ট, সরকারি নথি এবং সন্দেহভাজন অন্যদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাছাড়া এসআই খায়রুলসহ অন্য দুই আসামির ডিএনএ পরীক্ষা করেও তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি।

তিনি বলেন, গৃহবধূ ধর্ষণের ওই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। শিগগির তা আদালতে দাখিল করা হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর রাতে যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর এলাকার এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এসআই খায়রুল আলম সোর্স কামরুজ্জামান ওরফে কামারুলের বিরুদ্ধে। এর আগে গত ২৫ আগস্ট ওই নারীর স্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

ওই নারী দাবি করেন, তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়ার শর্তে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন গোরপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল আলম। টাকা না দেয়ায় ৫০ বোতল ফেনসিডিল দিয়ে ওই ব্যক্তিকে চালান দেয়া হয়। সেপ্টেম্বর গভীর রাতে এসআই খায়রুল, সোর্স কামারুলসহ চারজন ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান এবং আবারো ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই খায়রুল কামারুল তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনায় সেপ্টেম্বর শার্শা থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন