সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ-কোরিয়া জয়েন্ট পিপিপি প্লাটফর্মের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং-ইল ও বিদেশী অবকাঠামো ও নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কোরিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিং-গু হু উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পিপিপি প্লাটফর্মের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে ১৪টি ও দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে ১৯টি প্রস্তাবিত প্রকল্পের মধ্যে তিনটি প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছিল। এগুলো হলো ঢাকা সার্কুলার রেলওয়ে নির্মাণ, মোটরবাড়ী-মদুনাঘাট ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ককে সার্ভিস লাইনসহ এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীতকরণ।
এবারের বৈঠকে এসব প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা, অর্থায়ন, সময়সীমা, বিনিয়োগের সম্ভাবনা প্রভৃতি ইস্যুতে উভয় পক্ষের আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুটি ও দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে পাঁচটি নতুন প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী বৈঠকের সমাপনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কাইকাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক প্রিন্সিপাল কো-অর্ডিনেটর জুয়েনা আজিজ উপস্থিত ছিলেন।