২০১৯ সাল

দেশে চায়ের উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৭০ লাখ কেজি

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম ব্যুরো

সুদিন ফিরছে দেশের চা খাতে। কয়েক বছর ধরে দেশে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। প্রতি বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোর পাশাপাশি আগের বছরের চেয়েও বেশি চা উৎপাদন করছেন বাগান মালিকরা। ২০১৯ সালজুড়ে দেশের বাগানগুলোতে সব মিলিয়ে কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার কেজি বেশি। সময় দেশে পানীয় পণ্যটির ব্যবহার দাঁড়িয়েছে কোটি ৫২ লাখ কেজি।

বিষয়ে বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মুনির আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশে চায়ের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। বিদায়ী বছরের নভেম্বর ডিসেম্বর বাদে প্রতি মাসেই আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি চা উৎপাদন হয়েছে। দেশের বাগানগুলো চা বোর্ডের পরিকল্পনায় সঠিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের চা খাত আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

চা বোর্ডের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে দেশে সব মিলিয়ে কোটি ৮৯ লাখ ৪৯ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। সময় পণ্যটির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল কোটি লাখ ৮০ হাজার কেজি। এর পরের বছর কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার কেজি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দেশের বাগানগুলো থেকে কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার কেজি চা সংগ্রহ করা হয়। আর সর্বশেষ বছরে কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার কেজি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দেশে মোট কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।

অর্থাৎ প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বাড়ায় চা উৎপাদনের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে চলতি বছর পণ্যটির রেকর্ড উৎপাদনে দেশের চা খাত নিয়ে নতুন করে ভাবাচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে চা বোর্ড। লক্ষ্যপূরণে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি নানা ধরনের পরিকল্পনাও প্রণয়ন করেছে।

চা বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক সময় চা রফতানিকারক দেশ হিসেবে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ছিল। কিন্তু প্রায় এক যুগ আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধির বিপরীতে উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ না হওয়ায় দেশকে আমদানিনির্ভর হয়ে পড়তে হয়। তবে শিগগিরই অবস্থা পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

২০১৫ সালে বাংলাদেশের চা রফতানি কমতে কমতে লাখ ৪০ হাজার কেজিতে নেমে আসে। এরপর ২০১৭ সালে পণ্যটির রফতানি বেড়ে ২৫ লাখ ৬০ হাজার কেজিতে উন্নীত হয়। তবে দুই বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে চা রফতানি আবার নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। ২০১৮ ২০১৯ সালে দেশ থেকে যথাক্রমে লাখ ৫০ হাজার লাখ কেজি চা রফতানি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন