বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বাগেরহাট

নানা প্রকল্পের জন্য সরকারকে প্রায়শই ভূমি অধিগ্রহণ করতে হয়। কিন্তু প্রকৃত ভূমি মালিকরা তাদের পাওনা টাকা পান না বা পেলেও অধিকাংশই দালালের পকেটে যায় বলে অভিযোগ করেন। নানা হয়রানির মুখে পড়তে হয়। অধিগ্রহণের টাকা পেতে হয়রানি ও দালালের দৌরাত্ম্য থেকে ভূমি মালিকদের রক্ষা করতে মাঠে নেমেছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের বাড়ির আঙিনায় গণশুনানি করেছেন কর্মকর্তারা। 

সকালে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় হোগলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খুলনা-মোংলা রেললাইন ও খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বাগেরহাট জেলা প্রশাসন এই প্রথম মাঠে বসে গণশুনানি করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জমির মালিক ও এলাকাবাসী।

রামপাল উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকার জমির মালিকরা হাজির হন এ গণশুনানিতে। বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তারা শুনানি পরিচালনা করেন। পরে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জমির ১০ জন মালিককে খুঁজে বের করেন এবং তাদের প্রাপ্য টাকার চেক হাতে তুলে দেন। 

জমির মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, অধিগ্রহণের টাকা আনতে গিয়ে ডিসি অফিসে গণশুশানি হতো।  এতে খরচের পাশাপাশি নানা হয়রানিতেও পড়তে হতো।  আজ আমাদের বাড়ির পাশেই মাঠে গণশুনানি হয়েছে। আমরা এতে খুশি হয়েছি। এভাবে যদি সরকার আমাদের সমস্যাগুলো মাঠ পর্যায়ে সমাধান করে তাহলে দালালদের হাত থেকে মুক্ত থাকবো।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের ডিসি অফিসে গিয়ে গণশুনানিতে অংশ নিতে হতো। ফলে জমির মালিকদের অর্থ এবং সময় দুটোই নষ্ট হত। আর এ সময় ও অর্থের কথা চিন্তা করে তাদের কষ্ট কমাতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। 

বাগেরহাট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকদের ভোগান্তি কমাতে এবং দালালদের দৌরাত্ম্যের হাত থেকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জমির মালিকদের বাড়ি গিয়ে আমরা ক্ষতিপূরণের চেক পৌঁছে দিচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন