ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার জেরে মারামারি, বাকৃবির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ

এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার জেরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ইশা খাঁ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসিবুল হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।  ঘটনা তদন্তে ক্রপ বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম জাকির হোসেনকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সারওয়ার জাহান বণিক বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, প্রক্টরিয়াল বডির সিদ্ধান্তে ওই শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন, ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মোবাশ্বের হোসেন, শামীম রেজা ও কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সাফায়েতুল ইসলাম তন্ময়। পাশাপাশি ওই চার শিক্ষার্থী এবং ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ইশা খাঁ হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসিবুল হাসানকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জব্বারের মোড়ের কাছে এক ছাত্রীকে উদ্দেশ করে অশ্লীল কথাবার্তা বলতে থাকে অভিযুক্ত চার শিক্ষার্থী। ওই ছাত্রী ইশা খাঁ হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসিবুল হাসানের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। হাসিব ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং ছাত্রীকে জব্বারের মোড় থেকে রিকশায় করে হলে পাঠিয়ে দেন। এতে ওই চার শিক্ষার্থী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে। পরে হাসিব ও সহযোগীরা ওই চারজনকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহত হাসিবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানেও তারা হামলা করে। এ সময় চিকিৎসক ডা. সাদেকুল ইসলামও আঘাতপ্রাপ্ত হন। 

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হকের সভাপতিত্বে প্রক্টরিয়াল বডির সভা হয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।  ঘটনা তদন্তে ক্রপ বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেনকে সভাপতি এবং সহকারী প্রক্টর ড. মো. শফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন