আবরার হত্যায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩০ জানুয়ারি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। অভিযোগপত্র গঠনের শুনানির জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) গ্রেফতার ২২ আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মামলাটিতে এখনো পলাতক রয়েছেন তিনজন। এরপর অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তারিখ নির্ধারণ করেন।

আদেশে আদালত বলেছেন, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে। সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল শুনানির সময় আদালতে বলেন, ইতিমধ্যে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি পরিচালনা করার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সিএমএম আদালত মামলার নথি বিচারিক আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর গত মঙ্গলবার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।গেল বছর ১৩ নভেম্বর মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে দাখিল করেছেন।

কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী শাসছুল আরেফিন রাফাত, আকাশ হোসেন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মোর্শেদ অর্মত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু। যাদের মধ্যে প্রথম ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তি করেছেন।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত পলাতক থাকা ৩ আসামি হলেন, বুয়েটের ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স বভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মুহাম্মাদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান (২২), বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (২০) ও বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মুজতবা রাফিদ (২১)।

উল্লেখ্য, আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন