সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে, যা আমরা গত জাতীয় নির্বাচনেও করেছি। কূটনীতিকরা এখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তারা নির্বাচনের দিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেখবেন। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কথা বলেন তিনি।

গতকাল দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সময় নির্বাচন কমিশনার শাহদাত হোসেন চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। ঘণ্টাখানেক বৈঠকের পর তাকে ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখানো হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম মার্কিন দূতকে ইভিএমে ভোট প্রক্রিয়া দেখান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আর্ল আর মিলার বলেন, আজ যুক্তরাষ্ট্রে ছুটির দিন। কারণ আজ মার্টিন লুথার কিং ডে গণতন্ত্রে ক্ষমতা যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, তা মার্টিন লুথার কিংয়ের চেয়ে ভালো কেউ জানেন না। কারণেই আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আসন্ন ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি।

তিনি বলেন, আমি ইভিএম দেখতে চেয়েছি। বিষয়ে বেশকিছু শিখেছি। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ, অবাধ, গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন হবে। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান, তাদের সে অনুযায়ী অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে বলে আশা করছি।

ইভিএম নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এখানকার কর্মকর্তারা আমাকে ইভিএম প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। এটি তারা ভোটারদের কাছেও ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে, তারা যে প্রার্থীকেই ভোট দেন না কেন। আপনারা জানেন যে বাংলাদেশে ভোট প্রদানের হার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি, যা প্রশংসা করার মতো।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি বেশ আশাব্যঞ্জক যে রাজনৈতিক দলের পক্ষগুলো তারা একে অন্যকে যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে। ফলে যিনিই জয় পান না কেন, তিনিই পরবর্তী সময়ে ঢাকার নেতা হবেন। ঢাকার অধিবাসী হিসেবে এটি বেশ আশাব্যঞ্জক, যা আমি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে শুনেছি।

 

আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটে অংশ নেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, দয়া করে অংশগ্রহণ করুন। হয়তো কিছু সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে কাজ করে না। কিছু সময়ে এটি গোলযোগপূর্ণ অগোছালো হয়। তবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন