দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধাগুলোকে বৈষম্যহীন করার তাগিদ জানিয়েছেন শ্রীলংকার পোশাক খাতের প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক খাতে বিনিয়োগের আগ্রহও প্রকাশ করেছেন তারা। পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনাকালে ঢাকা সফররত শ্রীলংকার পোশাক খাতের প্রতিনিধিরা এসব অভিমত ও আগ্রহ তুলে ধরেন।
গুলশানের বিজিএমইএ কার্যালয়ে গতকাল এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে শ্রীলংকার পোশাক খাতের সংগঠন জয়েন্ট অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশন ফোরাম (জেএএএফ) ও বিজিএমইএর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও (এমওইউ) সই হয়। বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক এবং জেএএএফের চেয়ারম্যান শরদ আমালিন এমওইউতে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন। উভয় সংগঠনের মধ্যে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পে উৎপাদন, বাণিজ্য, গবেষণা বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা এ সমঝোতার আওতায় রয়েছে।
বৈঠকে শ্রীলংকার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগের অনুমতিসহ স্থানীয় ও বিদেশী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো ধরনের বৈষম্য না করার তাগিদ জানিয়েছেন। শ্রীলংকার বিনিয়োগকে উৎসাহ দিতে স্থানীয়দের মতো সমান নীতি সহায়তারও আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক শিল্পে বিনিয়োগের পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশের বিদ্যমান সক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহারের তাগিদও জানানো হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, সফরকারী শ্রীলংকার বিনিয়োগকারীদের তিনি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে ম্যান মেড ফাইবার উৎপাদনে বস্ত্র কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
