পিএস-এপিএসে অনুসন্ধান শেষ নয়: দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএসকে তলবের কথা জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান . ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, পিএস-এপিএসদের জিজ্ঞাসাবাদেই কাজ শেষ নয়, অনিয়ম-দুর্নীতিতে আর কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করা হবে। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়েদেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২০উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুসকে হাজির হতে ১৪ জানুয়ারি নোটিস পাঠিয়েছে দুদক। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা নোটিসটি মেয়র বরাবর পাঠিয়ে তার এপিএস কুদ্দুসকে ২১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।

পিএস-এপিএসদের ডাকা হলেও দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের বিষয়ে দুদকের উদ্যোগ রয়েছে কিনা, তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি সাংবাদিকদের দিক থেকে বলা হয়, সরকারের বিভিন্ন বিভাগে মেয়র সাঈদ খোকনকেমিস্টার টেন পারসেন্টবলে ডাকা হয়। রকম অনেকেই আছে। তাদের বিষয়ে দুদক নীরব কেন? এর জবাবে দুদকের প্রধান বলেন, আমরা নীরব না। আমাদের যে চোখ নেই তা না, দুর্নীতি যেখানেই ঘটেছে, সেখানেই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং আমার জানা মতে, অলরেডি একটি মামলা হাইকোর্টে আছে যেকোনো একজনের বিরুদ্ধে।

তিনি আরো বলেন, আর ১০ পারসেন্ট বা পারসেন্ট, এসব বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের বক্তব্য দুর্নীতি হয়েছে কিনা, সেটা যদি শতাংশও হয়, সেটাও দুর্নীতি। ওয়েট অ্যান্ড সি। দুর্নীতিটা কীভাবে ঘটেছে, সেটা যদি পিএস-এপিএসরা বলতে পারেন, আমরা খুঁজে বের করব। সুতরাং চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই যে, আমরা পিএস-এপিএস দিয়ে শেষ করব। পিএস-এপিএস ছাড়াও যারা যুক্ত ছিলেন, যুক্ত হয়েছেন বা যুক্ত আছেন, আমরা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনব।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা দেখেছেন কাউকে ডাকতে আমাদের কলম কাঁপেনি। আমরা ডাকি তাকে সুযোগ দেয়ার জন্য। আমরা বলতে চাই, আপনি আপনার বক্তব্য বলে যান। বক্তব্য যদি সঠিক হয়, আমরা তা গ্রহণ করি। সঠিক না হলে তা অন্যভাবে শনাক্ত করার চেষ্টা করি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন