চীনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ

বণিক বার্তা ডেস্ক

চীনে নতুন ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছেই। সপ্তাহ শেষে তিন গুণ হয়েছে হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। উহানে ভাইরাসটির সংক্রমণে নতুন করে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৩৬টি। অন্যদিকে রাজধানী বেইজিংয়ে ভাইরাসে দুই শেনঝেনে আক্রান্ত হয়েছেন একজন। সব মিলিয়ে সরকারি হিসাবে চীনে এখন পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ, মারা গেছেন তিনজন। তবে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ৭০০-এর কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা। খবর বিবিসি।

গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস গোত্রের ভাইরাসের প্রথম দেখা মেলে উহানে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এর সংক্রমণে ভাইরাল নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ে। তবে ভাইরাসটির বিষয়ে এখন পর্যন্ত তাদের কাছে খুব বেশি তথ্য নেই। মনে করা হচ্ছে, ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঘটে একটি মার্কেট থেকে। এটির ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়ার বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এদিকে গতকাল ভাইরাসে সংক্রমণের তথ্য নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর আগে থাইল্যান্ড জাপানও ভাইরাসটির সংক্রমণের কথা জানায়। এরই মধ্যে নতুন ভাইরাস ২০০০ সালের দিকে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই সময়ে বহু দেশে সার্স সংক্রমিত হয়ে মারা যায় ৭৭৪ জন। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল এশিয়ায়। জিন কোড বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য অনেকাংশেই সার্সের মতো।

উহান কর্তৃপক্ষ বলছে, মধ্য চীনের শহরের কোটি ১০ লাখ মানুষ নতুন ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষত, নতুন করে ১৩৬ জনের সংক্রমণের বিষয়টি তাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এর আগে ৬২ জন সংক্রমিত হওয়ার কথা নিশ্চিত করা হলেও, এখন উহানে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ১৭০ জন। এর মধ্যে জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে বেইজিংয়ের দাক্সিন জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, উহান থেকে ঘুরে আসা দুজন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে শেনঝেন কর্তৃপক্ষ জানায়, ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি উহানে আত্মীয়দের কাছ থেকে ঘুরে আসার পর তার মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। এছাড়া পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে আরো আটজনকে।

এছাড়া চীনের বাইরে যারা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, তারা সবাই হয় উহানের বাসিন্দা, না হয় তারা সেখানে বেড়াতে এসেছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওই এলাকায় তারা বাণিজ্য কিংবা ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপের সুপারিশ করছে না। কিন্তু তারা বিভিন্ন দেশকে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব রোধে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন