চীনের অপরিশোধিত তামা আমদানি বেড়েছে ৯.১%

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের অপরিশোধিত তামা আমদানি দশমিক শতাংশ বেড়েছে, যা ২০১৬ সালের মার্চের পর সর্বোচ্চ। সম্প্রতি প্রকাশিত কাস্টমস পরিসংখ্যানে তথ্য উঠে এসেছে। শিল্প কার্যক্রমের উন্নয়ন স্ক্র্যাপ ধাতুর সরবরাহ কমায় চাহিদা বেড়েছে, যার সুবাদে গত মাসে অপরিশোধিত তামা আমদানি বেড়েছে দেশটিতে। খবর রয়টার্স।

বিশ্বে তামার বৃহত্তম ভোক্তা চীন। দেশটির জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের পরিসংখ্যান অনুসারে, ডিসেম্বরে চীনে অ্যানোড, পরিশোধিত অর্ধ-পরিশোধিত তামাজাত পণ্যসহ অপরিশোধিত তামা আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে লাখ ২৭ হাজার টন। এর আগের মাসে আমদানির পরিমাণ ছিল লাখ ৮৩ হাজার টন।

তামার আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য চীনা বাজারমূল্যের মধ্যে একটি অনুকূল সমন্বিত দাম ডিসেম্বরের আমদানি বৃদ্ধির পেছনে আংশিকভাবে প্রভাব রেখেছে। অনুকূল দামের কারণে ব্যবসায়ীরা চীনে ধাতুটির চালানের মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন বলে হংকংয়ের এগ্রোনাট সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক হেলেন লাউ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এছাড়া গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের পর আমরা চাহিদা ঘুরে দাঁড়াতে দেখেছি। চীনে তামা আমদানি বাড়াতে যা সহায়ক হয়েছে। বিদ্যুৎ খাত গাড়ি উৎপাদনে বিনিয়োগের উন্নতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

যুক্তরষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির আভাস কারখানা উৎপাদন কার্যাদেশ শক্তিশালী করেছে। ফলে ডিসেম্বরে চীনে ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রমও সম্প্রসারণ হয়েছে।

লাউ বলেন, তামা আমদানি বাড়ার পেছনে তৃতীয় কারণ হিসেবে কাজ করেছে স্ক্র্যাপ আমদানি হ্রাস পাওয়া। এর ফলে ডাউনস্ট্রিম রিফাইনিংয়ের জন্য চীনকে অন্যান্য তামাজাত পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে।

গত বছরের শেষ নাগাদ স্ক্র্যাপ তামা আমদানির পরিমাণ কমে আসতে শুরু করে। যদিও নভেম্বরে চীনের নিজস্ব পরিশোধিত তামা উৎপাদন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাতে দেখা গেছে।

পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৯ সালের পুরো বছরে অপরিশোধিত তামা আমদানির পরিমাণ কমে ৪৯ লাখ ৮০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৮ সালের রেকর্ড সর্বোচ্চ ৫৩ লাখ টন আমদানি থেকে শতাংশ কম। মূলত গত বছরের প্রথমার্ধের দুর্বল আমদানির কারণে বার্ষিক আমদানিতে পতন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন লাউ। তবে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেশক্তিশালীআমদানির আশা করছেন তিনি। এদিকে গত মাসে তামা কনসেন্ট্রেট আমদানি কমে ১৯ লাখ ২৮ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে, যা নভেম্বরের ২১ লাখ ৫৭ হাজার টন আমদানির চেয়ে ১০ দশমিক শতাংশ কম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন