সেমিকন্ডাক্টর বিক্রিতে আয় কমেছে ১২%

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০১৯ সালে বৈশ্বিকভাবে সেমিকন্ডাক্টর বিক্রি থেকে আয় কমে গেছে। ওই বছরে সেমিকন্ডাক্টর বিক্রি থেকে ৪১ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার আয় করেছে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো, যা আগের বছরের চেয়ে ১১ দশমিক শতাংশ কম। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার তথ্য জানিয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমস।

গার্টনার জানায়, বছরজুড়ে মেমোরির বাজার নিম্নমুখী থাকায় সেমিকন্ডাক্টর খাতে স্যামসাংয়ের মতো অনেক শীর্ষস্থানীয় ভেন্ডরের আয় কমে গেছে, এমনকি তা আগের দুই বছরের চেয়েও কম। তবে এতে পোয়াবারো হয়েছে ইন্টেলের। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর সেমিকন্ডাক্টর বাজারে শীর্ষ অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছে।

গার্টনারের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু নরউড জানান, ২০১৯ সালে সেমিকন্ডাক্টর বাজারের ২৬ দশমিক শতাংশ মেমোরির দখলে ছিল। গত বছর মেমোরি বিক্রি থেকে আয় কমেছে ৩২ দশমিক শতাংশ। অন্যদিকে অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে একই প্রবণতা দেখা গেছে ডিআরএএমের বাজারে। গত বছর ডিভাইস বিক্রিতে আয় কমেছে ৩৭ দশমিক শতাংশ।

হঠাৎ চাহিদা কমে যাওয়ায় ২০১৮ সালের শেষ দিকে ডিআরএএমের বাজারে সরবারহ চাপ তৈরি হয়, যা ২০১৯ সালজুড়ে অব্যাহত ছিল। চাহিদার পতনের কারণে ডিভাইসটির দামও কমে যায়। অ্যান্ড্রুর মতে, ২০১৯ সালে ডিআরএএমের গড় মূল্য ৪৭ দশমিক শতাংশ কমেছে।

২০১৯ সালে সেমিকন্ডাক্টর বিক্রিতে ইন্টেলের আয় কমেছে দশমিক শতাংশ। মূলত সার্ভারের বাজারে শ্লথগতি সিপিইউর বাজারে সরবরাহ জটিলতায় পতন দেখা দেয়।

তবে সেমিকন্ডাক্টর খাতে সবচেয়ে বড় পতনের মুখে পড়েছে স্যামসাং। অন্যান্য ভেন্ডরের মতো প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত সরবরাহ এবং ডিআরএএম এনএনএনডির দরপতনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৯ সালে শুধু মেমোরি বিক্রিতে স্যামসাংয়ের আয় কমেছে ৩৪ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের ৮৪ শতাংশই খাত থেকে আসে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন