চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের প্রথমার্ধে যা ছিল ৫৭ পয়সা। এ হিসাবে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস কমেছে ২৪ পয়সা বা ৪২ দশমিক ১১ শতাংশ।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ২৭ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯০ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৫৩ পয়সা, যা আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ১৭ টাকা ৮৩ পয়সা। ২০১৮ হিসাব বছরে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল বি’ ও স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও সর্বশেষ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফা রেটিং)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৪ টাকা ৭০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২৩ টাকা ৭০ পয়সা ও ৪৫ টাকা ৪০ পয়সা।
পূর্ব এশীয় উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানিটি ২০০০ সালে যাত্রা করে। এর মূল ব্যবসা ডায়িং ও ওয়াশিং। এর বাইরে বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের জন্য সুতাও প্রস্তুত করে তারা। ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের অনুমোদিত মূলধন ১৯০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ৮৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৪৩। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫১ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ৯০, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৫২ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১০ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ২৯ দশমিক ৮৮, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৩৭ দশমিক ১২।