চরিত্রে ভিন্নতা না থাকলে অভিনয় ভালো লাগে না

এয়ারটেলের একটি টেলিছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে মিডিয়ায় পদার্পণ করেন অভিনেত্রী সাফা কবির এরপর সমানতালে কাজ করেন নাটক বিজ্ঞাপনে। ঘণ্টার নাটক টেলিফিল্মেই বেশি দেখা যায় অভিনেত্রীকে। বর্তমানে নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নির্মিত নতুন নাটক বিবাহ ডটকম-এর শুটিং স্পট থেকেই গতকাল টকিজের সঙ্গে কথা বলেন সাফা। জানালেন তার বর্তমান কাজকর্ম খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাইসা জান্নাত

আপনার মুহূর্তের ব্যস্ততা নিয়ে জানতে চাই।

সামনে ভালোবাসা দিবস। দিবসটি সামনে রেখেই কাজ করছি। আমি এখন মূলত ঘণ্টার নাটক টেলিফিল্মে কাজ করি। এরই মধ্যে নির্মাতা খায়রুল পাপনের স্যু মেকার, স্বরাজ দেবের হার্টলেস মিফতা আন্নার দ্য লাস্ট রেইনসহ আরো কয়েকটি নাটকের কাজ শেষ করেছি। এখনো কিছু নাটকের কাজ চলছে। এর পাশাপাশি ভালোবাসা দিবসের জন্য দুটি মিউজিক ভিডিওর কাজ শেষ করেছি।

এসব নাটকে দর্শকরা আপনাকে কী ধরনের চরিত্রে দেখতে পাবে?

এর আগে যে চরিত্রগুলো করা হয়নি, পরিকল্পনা ছিল সেসব চরিত্রে কাজ করব। সে অনুযায়ী কাজ করছি। তাছাড়া দেশের অধিকাংশ দর্শক একটু কমেডি ধাঁচের নাটক পছন্দ করে। ধরনের নাটক দেখে তারা একটু হাসতে ভালো সময় কাটাতে চায়। কমেডি চরিত্র আমার খুব বেশি করা হয়নি। এবার চরিত্রের দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছি। তবে শুধু যে কমেডি করছি তা নয়, ভালোবাসার বেশকিছু নাটকও রয়েছে। সবগুলো নাটকের চরিত্রেই ভিন্নতা আছে। আসলে চরিত্রে ভিন্নতা না থাকলে আমাদের নিজেদেরই অভিনয় করতে ভালো লাগে না।

নাটকের গল্প চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনি কতটা সচেতন বলে মনে করেন?

এক্ষেত্রে আমি অনেক বেশি সচেতন। আমার চারপাশের মানুষও বিষয়টি জানে। গল্প কেমন, নির্মাতা কে, চরিত্রটা কী ধরনেরসবকিছু মিলিয়ে একটু বেশিই সচেতন থাকার চেষ্টা করি।

এখনকার নাটকের মান নিয়ে আপনার অভিমত কী?

আমি সবসময় আশাবাদী। আমার কাছে মনে হয়, নাটকের মান দিন দিন ভালো হচ্ছে। তেমন খারাপ কিছু দেখি না। নতুন ধারার অনেক কাজ হচ্ছে। নতুন ট্রিটমেন্ট, ক্যামেরার কাজ সবকিছুই আমার কাছে অনেক আধুনিক লাগে। ধীরে ধীরে অনেক কিছুই উন্নত হচ্ছে।

নতুন যারা মিডিয়ায় কাজ করতে আসছেন, তাদের কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

নতুন যারা আসছেন, তাদের নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। তারা খুবই সম্ভাবনাময় প্রতিভাবান। আমার কাছে মনে হয়, তারা আমাদের থেকেও অনেক ভালো করবেন। নতুনরা কেবলই যাত্রা করেছেন। অথচ অল্প সময়ের মধ্যেই তারা নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন। এটা প্রশংসা করার মতো। সাধারণত কাজের প্রতি আগ্রহের বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তির ওপর। কিন্তু নতুনদের মধ্যে যারা ভালো করছেন, তাদের আগ্রহ সম্ভাবনাদুটোই রয়েছে।

আপনার চোখে পুরনো শিল্পীরা...

পুরনো যারা আছেন তারা তো লিজেন্ড। তাদের দেখেই আমরা একটু একটু করে শিখছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করছেন। একটা প্রজন্ম যায় আরেকটি আসে, এটা স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। আমরা এখনো সুবর্ণা মুস্তাফাসহ আরো অনেক লিজেন্ড শিল্পীদের কথা মনে করি। তারা সবসময়ই আছেন, থাকবেন।

ভবিষ্যতে চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছা আছে কি? পছন্দের তালিকায় কোন ধরনের চলচ্চিত্র রাখবেন?

আমার মনে হয় চলচ্চিত্র নিয়ে প্রতিটি শিল্পীই ভাবে। পছন্দসই কোনো নির্মাতা এখনো পাইনি। ভালো নির্মাতা গল্প পেলে কাজ করার ইচ্ছা আছে। এটা আমার একটা লক্ষ্য। চলচ্চিত্রে কাজ করার বিষয়টি নির্ভর করে গল্পের ওপর। যে গল্প শুনে মনে হবে এটা ভালো এবং আগে রকম গল্পের কোনো কাজ হয়নি, তেমন গল্পের চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই। সেটা হতে পারে রোমান্টিক, আর্ট কিংবা বাণিজ্যিক ছবি।

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাই।

সত্যি বলতে আমার পরিকল্পনা বলে কিছু নেই। প্রতিদিনই আমার পরিকল্পনাগুলো পরিবর্তিত হতে থাকে। যেহেতু অভিনয় করছি, আমি চাইব একজন ভালো অভিনেত্রী হতে। ভালো কিছু কাজ করতে চাই। আমি না থাকলেও যেন কাজগুলো থেকে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন