নারী শিক্ষার
প্রসারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
গতকাল
মানিকগঞ্জের শিবচরের চৌধুরী ফাতেমা বেগম পৌর অডিটোরিয়ামে এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধপূর্বক মাতৃমৃত্যু হ্রাসকরণ’ শীর্ষক পরামর্শ কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী
এলাকার জনগণের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের মতবিনিময় জরুরি, কেননা তৃণমূলের
জনগণই প্রতিনিয়ত সব সমস্যা মোকাবেলা করে। সংসদ সদস্যরা এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন
দেখভাল করার পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক সমস্যা যেমন—বাল্যবিবাহ, মাতৃমৃত্যু হ্রাস,
জঙ্গি দমন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
এর আগে শিবচরের
দত্তপাড়ায় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর পিতা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর কবরে ফুল
দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্পিকার। পরে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)
কলেজ মসজিদের নির্মাণকাজ ও
প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি।
তিনি বলেন, এমন সৃজনশীল উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এ ধরনের
আয়োজন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু হ্রাস এবং নারীদের সামগ্রিক
উন্নয়নে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীদের জন্য
নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তন ও সচেতনতা
বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হবে।
স্পিকার বলেন, ২০২১ রূপকল্প বাস্তবায়ন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নারীদের উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে হবে। নারীদের
পিছিয়ে না রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের শিক্ষায় এগিয়ে
দিতে হবে, তবেই বাল্যবিবাহ রোধ করা যাবে এবং মাতৃমৃত্যু
হ্রাস পাবে।
বাংলাদেশ জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড.
জাফর আহমেদ খানের
সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও সংসদ
সদস্য
নূর-ই-আলম চৌধুরী,
বাংলাদেশে জাতিসংঘের
আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো,
ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি ড. আশা টার্কেলসন বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ, সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক,
ফখরুল ইমাম, এসপি মাহবুবুর রহমান,
এডিসি আজাহারুল ইসলাম
প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।