বাঁচা-মরা ম্যাচে শঙ্কাও

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ম্যাচটা এখন অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল। সেমিফাইনালের টিকিট পেতে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা দুই দলেরই জয় চাই। নির্ধারিত সময়ে ফল না হলে সরাসরি টাইব্রেকারে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে জামাল ভূঁইয়াকে নিয়ে সংশয়ে বাংলাদেশ শিবির।

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে চোট লেগেছে অধিনায়কের পায়ে। গতকাল শেখ জামাল ক্লাব মাঠে প্রস্তুতি পর্বে দেখা যায়নি এ মিডফিল্ডারকে। তার খেলা না-খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য আজ সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন প্রধান কোচ জেমি ডে।

প্রথম ম্যাচে পাওয়া চোট কাটিয়ে উঠতে জামাল ভূঁইয়াকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তার বাম পায়ে লাগা চোট গুরুতর নয়। ঝুঁকি এড়াতেই বিশ্রামে রাখা হয়েছে জামালকে’—অধিনায়কের আঘাত সম্পর্কে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু। সাবেক এ ফুটবলার যোগ করেন, ‘চোট গুরুতর নয় ঠিকই, তার পরও ম্যাচে জামালের খেলার বিষয়টি নিশ্চিত নয়। ইনজুরি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ম্যাচের দিন সকালে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

টানা দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন। বাংলাদেশের পর শ্রীলংকাকেও ২-০ গোলে হারিয়েছে পশ্চিম এশিয়ার দেশটি। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই অর্ধে দুই গোল করা ফিলিস্তিন লংকানদের বিপক্ষে ৯২ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য ছিল। যোগ করা সময়ের দুই গোলে পূর্ণ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে দলটি।

ম্যাচে রক্ষণ নিখুঁত রেখে ফিলিস্তিনকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে আজ মাঠে নামবে শ্রীলংকা। আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠা ওই রক্ষণেই ভয় বাংলাদেশের। অসুস্থতার কারণে নাবিব নেওয়াজ জীবন নেই। বিকল্প হিসেবে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলা মতিন মিয়া আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের সঙ্গে লড়াই করে বল দখলে নিলেও পাস দেয়ার মতো কাউকে খুঁজে পাননি আরেক ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিন। ওই ম্যাচে মাঝমাঠের সঙ্গে আক্রমণভাগের সমন্বয়হীনতাও ছিল প্রকট। শ্রীলংকার বিপক্ষে আক্রমণভাগের কঠিন পরীক্ষার কথা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়কও।

শ্রীলংকা রক্ষণ জমাট রেখে খেলে। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে তাদের ছয়জন রক্ষণ পাহারা দিয়েছে। বল পজিশনে এগিয়ে থাকার সুবিধা নিয়ে একের পর এক আক্রমণ করলেও গোল পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। এ ম্যাচ হতে যাচ্ছে ফরোয়ার্ডদের বড় পরীক্ষা’—বলেন জামাল।

ফিলিস্তিনের কাছে হারলেও ওই ম্যাচ থেকেই আত্মবিশ্বাসের রসদ খুঁজছেন ২৯ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডার, ‘ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আমাদের বল পজেশন ভালো ছিল। তার পরও গোল করতে পারিনি। এ ম্যাচে তা হতে দিতে চাই না। সেমিফাইনাল আমাদের লক্ষ্য। এজন্য রক্ষণ সুরক্ষিত করে গোলের চেষ্টা করতে হবে। আশা করি, গোল পাব।

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে ডিফেন্সিভ পজিশনে খেলিয়ে জামাল ছিলেন অ্যাটাকিং পজিশনে। একমাত্র ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা সাদকে সহায়তা করার দায়িত্ব দিয়ে মতিন মিয়াকে খেলানো হয়েছে রাইট উইং পজিশনে। স্বাগতিকদের এ কৌশল অবশ্য কাজে আসেনি। শ্রীলংকা ম্যাচের আগে তাই কৌশল ও ফরমেশন বদলের ইঙ্গিত দিলেন জামাল, ‘আক্রমণভাগে সাদ একা লড়াই করে পারছে না। এ ম্যাচে আমাদের ফরমেশন ও কৌশলে পরিবর্তন আসতে পারে। খেলানো হতে পারে দুই স্ট্রাইকার। আক্রমণভাগে আজ সাদের পাশে মতিন বা সুফিলকে দেখা যেতে পারে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকাল ৫টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচে স্বাগতিকদের ফরমেশন ও কৌশল বদল আদৌ কাজে আসে কিনা, তা সময়ই বলবে। তার আগে এসএ গেমসে শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় থেকে লড়াইয়ের রসদ খুঁজছেন জামাল, ‘নেপালে আমরা শ্রীলংকাকে হারিয়েছি। আক্রমণে আমরাই এগিয়ে ছিলাম। আজো জয় নিয়ে ফিরতে চাই আমরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন