গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে ধাপে ধাপে কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনতে কাজ শুরু করছে জার্মানি। এ লক্ষ্যে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি কমিয়েছে দেশটি। গত বছরজুড়ে দেশটি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে মোট ৪ কোটি ২ লাখ টন হার্ড কোল আমদানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম। খবর রয়টার্স ও ডয়েচে ভেলে।
দেশটির ইস্পাত উৎপাদন খাতে কয়লার ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এছাড়া কয়লার পরিবর্তে দেশটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন সৌর ও বায়ুশক্তিতে ঝুঁকেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ক্লিন এনার্জি খ্যাত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার। সম্প্রতি দেশটি ২০৩৮ সাল নাগাদ সব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি কয়লা ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে। জার্মানির লবি গ্রুপ ভিডিকেআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে খাতটি সব মিলিয়ে ২ কোটি ৬৮ লাখ টন কয়লা কিনেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ কম। গত বছর দেশটির সম্মিলিত বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার হিস্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ শতাংশ, যা আগের বছরের তুলনায় ৯ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। এদিকে গত বছর দেশটির ইস্পাত খাত মোট ১ কোটি ১৫ লাখ টন কোকিং কোল আমদানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ কম।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফ্যাঞ্জ-জোসেফ উডোপিয়া বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে প্রবৃদ্ধি জার্মানির কয়লা ব্যবহার হ্রাসের একমাত্র কারণ নয়। বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে আনতে মানুষ সচেতন হয়ে উঠেছে। একই সময়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে কয়লার দামের তফাৎ কমে এসেছে। সব মিলিয়ে কয়লার ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।
জার্মানির জ্বালানি বাজার বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান এজিইবির তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরে দেশটিতে হার্ড কোলের ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন। একই সময় দেশটিতে ব্রাউন কোলের ব্যবহার কমেছে ২০ দশমিক ৭ শতাংশ।
