ময়মনসিংহের গৌরীপুর জংশনে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার একদিন যেতে না যেতেই এবার মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেনটিকে উদ্ধার করতে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে উদ্ধারকারী ট্রেনটিও।
গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৬ ঘণ্টা ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল ও গৌরীপুর-শালিহর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেন ও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে একই স্থানে রিলিফ ট্রেনটিরও হাইড্রোলিক টুল ভ্যানের ৫টি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে এখনো আটকে আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গৌরীপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ১নং রেলক্রসিং অতিক্রম করার পরেই মালবাহী ট্রেনটির একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের চালক ও পরিচালক প্রথমে টের না পাওয়ায় লাইনচ্যুত বগি নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি প্রায় ৩শ গজ চলে যায়।এ সময় বিকট শব্দের কারণে আশপাশের মানুষ চিৎকার শুরু করলে ট্রেনটি গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালে কাছে গিয়ে থামে।
ট্রেনের পরিচালক ফজলে এলাহী জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সার বোঝাই ২৪টি বগি নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা দেয়। গৌরীপুর ২নং রেলক্রসিং এলাকায় ট্রেনের ১০নং বগির চারটি চাকা রেললাইন থেকে সরে যাওয়ায় ট্রেনটি আটকে যায়।
গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুর রশিদ জানান, দুর্ঘটনার পর ময়মনসিংহ কেওয়াটখালী লোকো শেডো থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেনটির হাইড্রোলিক টুল ভ্যানের ৫টি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে হাইড্রোলিক টুল ভ্যানটি ৪নং লাইনে লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে না। ময়মনসিংহ লেকোসেডের ট্রেন চালক সুরুজ্জামান জানান, ‘রিলিফ ট্রেনটির হাইড্রোলিক টুল ভ্যানের ৫টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এটি উদ্ধারে কাজ চলছে। সময় লাগবে।’
স্টেশন মাস্টার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ক্রুটিপূর্ণ রেললাইন ও লাইনে পাথর না থাকার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।’
এর আগে বুধবার ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেসের ৩টি বগি একই স্থানের বিপরীত লাইনে লাইনচ্যুত হয়।
