ভোটের তারিখ পরিবর্তনে আ.লীগের আপত্তি নেই : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরস্বতী পূজার দিন ভোটগ্রহণের তারিখ পড়ায় বিষয়টি নিয়ে হিন্দুু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন হলে দলটির কোনো আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, নির্বাচন-সংক্রান্ত যে কোনো বিষয় সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। পূজার কারণে আজকে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে, আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সম্মানজনক, গ্রহণযোগ্য, যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবসম্মত একটা সমাধান খুঁজে নেবে। এটাই আমরা আশা করি। নির্বাচন কমিশন যদি তারিখ পরিবর্তন করতে চায়, করতে পারে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ সরকারের কিছুই করণীয় নেই। আমাদের কোনো আপত্তিও নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, পূজার দিনে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে সরকার বড় অন্যায় করেছে। আমি বলতে চাই তারিখ কিন্তু আমরা নির্ধারণ করিনি, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ বিষয়টির এখতিয়ার তাদেরই। কবে শিডিউল, কবে তারিখ এটা নির্বাচন কমিশনই দেখবে। এখানে সরকারের কিছু নেই। কাজেই সরকার এখানে অন্যায় করেছে এ কথার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায় না।

নির্বাচনের তারিখ পূজার দিনে পড়েছে সরকারের পঞ্জিকার ভুলেপ্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন-সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ের দায়দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এখানে অন্য কারো উপরে দায়দায়িত্ব চাপানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। ২ হাজার ২০০ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৪টি কেন্দ্রে পূজা হবে। ৫৪ কেন, চারটি হলেও ধর্মের প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত এবং আমরা সেটা করি। আমার মনে হয়, নির্বাচন কমিশনের উচিত তাদের সঙ্গে বসা। ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টির সম্মানজনক যৌক্তিক সমাধান তারা খুঁজে নেবেন। এটি আমরা আশা করছি।

কাউন্সিলর পদে দলের বাইরে যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তাদের বসিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দলের বাইরে যারা নির্বাচন করছেন, তাদের ব্যাপারে আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি নির্ধারিত সময়ে যারা প্রত্যাহার করেননি, তাদের প্রত্যাহার করানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন