সুস্থ থাকতে যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট...

ফিচার ডেস্ক

কার্বস বা কার্বোহাইড্রেট এমন একটি উপাদান, যা আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস গ্লুকোজ। কার্বস জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে এ গ্লুকোজ সরবরাহ করে থাকে। দেহ যাতে সঠিকভাবে কাজ করে, সেজন্য শরীরে কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ডায়েট করে থাকে। আর ডায়েট চার্ট থেকে প্রথমেই বাদ দেয়া হয় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার।

শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম হলে যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি বেশি হলেও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে চিকিৎসকরা খাবারের তালিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রাখতে বলেন। কিন্তু অনেকেই আমরা জানি না এ খাবারগুলো প্রতিদিন কী পরিমাণে খাওয়া উচিত। এ সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি কয়েকজন গবেষক একটি সহজ সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

গবেষকদের মতে, কমপ্লেক্স ও সিম্পলএ দুই ধরনের কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এর মধ্যে কমপ্লেক্স কার্বসগুলো কম প্রক্রিয়াজাত। এগুলো ধীরে ধীরে হজম হয় এবং ডায়েটি ফাইবার বেশি থাকে। অন্যদিকে সিম্পল কার্বোহাইড্রেটগুলো দ্রুত হজম হয়। প্রতিদিন কতটুকু শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত, তা নির্ভর করে বয়স, লিঙ্গ, কাজের পরিমাণ ও সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপর।

বলা হচ্ছে, শরীরে প্রতিদিন ৪৫-৬৫ শতাংশ ক্যালরি আসে কার্বোহাইড্রেট খাবার থেকে। যদি কেউ দিনে দুই হাজার ক্যালরি খায়, তাহলে সেটা ২২৫-৩২৫ গ্রাম কার্বসের সমান। তবে কতটুকু কার্বস আপনি খেলেন, তা সবসময় সঠিকভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হয় না। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন এ সমস্যা সমাধানে খাবার প্লেট সাজানোর একটি কৌশলের কথা বলেছেন।

প্রথমে খাবার প্লেটে নিয়ে প্লেটের মাঝ বরাবর একটি রেখা কল্পনা করুন। তারপর অর্ধেক অংশজুড়ে একটি আনুভূমিক রেখা কল্পনা করুন, যাতে প্লেটটি তিন ভাগে বিভক্ত হয়। প্লেটের বড় খালি অংশটি শ্বেতসারযুক্ত খাবার যেমন আলু অথবা শস্যজাতীয় খাবার দিয়ে পূরণ করুন। লেটুস, সবুজ বাঁধাকপি ও মাশরুমের মতো সবজিও রাখতে পারেন।

এরপর ছোট দুটি খালি অংশের একটি আলু, শস্যজাতীয় খাবার, ব্রাউন রাইস, মটর, শিমের বিচিএ জাতীয় খাবার দিয়ে পূরণ করুন। প্লেটের বাকি ছোট খালি অংশটি মুরগি, সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, গরুর মাংস পাতলা করে কাটাএগুলো রাখতে পারেন।

এসব খাবারের পাশাপাশি ফলমূল ও কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাতীয় কিছু খাবার যোগ করতে পারেন। এছাড়া অলিভ অয়েল, বাদাম খাবারের তালিকায় রাখুন। কম ক্যালরিযুক্ত পানীয় যেমন পানি, মিষ্টি ছাড়া চা বা কফি পান করতে পারবেন।

যখন আপনি আপনার প্লেটের একটি অংশে শস্যজাতীয় বা শ্বেতসারযুক্ত খাবার রাখবেন, তখন উচ্চ ফাইবারযুক্ত মিষ্টিবিহীন কিছু খাবার রাখতে পারেন। শ্বেতসার ও শস্যজাতীয় খাবার খনিজ, ভিটামিন ও ফাইবারের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। এভাবে খাবার প্লেট সাজানোর মাধ্যমে আপনি কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। শরীরে সঠিক পরিমাণ কার্বস পেতে ফর্মুলাটি আপনি বাড়িতে প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। কতটুকু কার্বসযুক্ত খাবার দরকার এবং কার্ব জাতীয় কোন খাবারগুলো থেকে দূরে থাকা দরকার, সে বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে।

 

সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন