ইইউর গম রফতানির প্রাক্কলন বাড়াল স্ট্র্যাটেজিক গ্রেইনস

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো থেকে চলতি মৌসুমে গম রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ গম উৎপাদনকারী দেশে এবার পণ্যটির উৎপাদন নিম্নমুখী রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে এসব দেশ থেকে পণ্যটির সরবরাহ হ্রাস পাবে। এতে বিশ্ববাজারে ইইউর গমের চাহিদা বাড়বে, যা পণ্যটির রফতানি বৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। পণ্যবাজারবিষয়ক বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজিক গ্রেইনসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। খবর রয়টার্স।

মূলত ইইউর কৃষি খাতের পাওয়ার হাউজখ্যাত ফ্রান্স থেকে গমের রফতানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা অঞ্চলের সম্মিলিত রফতানি বাড়িয়ে তুলবে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমে (জুলাই-জুন) ইইউ থেকে সব মিলিয়ে কোটি লাখ টন সফট হুইট রফতানি হতে পারে। আগের প্রাক্কলনে এর পরিমাণ ছিল কোটি ৮৭ লাখ টন। সে হিসাবে সর্বশেষ প্রতিবেদনে পণ্যটির রফতানি প্রাক্কলন ১৮ লাখ টন বাড়িয়েছে স্ট্র্যাটেজিক গ্রেইনস।

ফ্রান্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ মাসভিত্তিক শস্য প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববাজারে ইইউর গমের চাহিদা ক্রমে মজবুত হচ্ছে। এর জের ধরে চলতি মৌসুমে অঞ্চলটি বিশ্বের রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।  

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চলতি মৌসুমে ইউক্রেন আর্জেন্টিনা থেকেও গম রফতানিতে চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। তবে খাদ্যপণ্যটির শীর্ষ রফতানিকারক রাশিয়া পণ্যটির রফতানিতে সীমা বেঁধে দিয়েছে।

এছাড়া অন্যতম শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া থেকে পণ্যটির রফতানি ব্যাপক মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে। এসব বিষয় আন্তর্জাতিক বাজারে ইইউর গম রফতানি বাড়াতে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের বাজার ধরে রাখাসহ ইইউ গমের নতুন বাজার তৈরি করছে। এবার মিসর, চীন ইরানে অঞ্চল থেকে পণ্যটির রফতানি আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফ্রান্সে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে এবং আমদানিকারক ইইউর অন্যান্য দেশ থেকে পণ্যটি ক্রয়ে বাধ্য হলে অঞ্চলটির সামগ্রিক রফতানিতে চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।

উল্লেখ্য, গম উৎপাদনকারী রফতানিকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান যথাক্রমে প্রথম দ্বিতীয়। অঞ্চলের দ্বিতীয় শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ ফ্রান্স। বিদায়ী বছরে ডিসেম্বরে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দেশটির কয়েকটি বন্দরের সব কার্যক্রম বেশ কিছুদিন স্থগিত ছিল। এর পরও সময় দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি বেড়ে সাত বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন