স্যার ফজলে
হাসান আবেদের
কর্মপরিধি ছিল
ব্যাপক।
কিন্তু তার
দর্শন ছিল
শিক্ষাকে নিয়েই
এগোতে হবে। তিনি
মনে করতেন,
শিক্ষায় অনেক
চ্যালেঞ্জ আছে,
হাল ছাড়লে
হবে না। তাই
মৃত্যুর আগ
পর্যন্ত তিনি
শিক্ষার উন্নয়নে
কথা বলেছেন।
গতকাল ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর
আহমেদ চৌধুরী
অডিটোরিয়ামে ‘শিক্ষায়
স্যার আবেদ, তার চিন্তা,
আদর্শ ও
কৃতি’ শীর্ষক
আলোচনা সভায়
বক্তারা এ
কথা বলেন।
জ্ঞানতাপস আব্দুর
রাজ্জাক ফাউন্ডেশন
আয়োজিত আলোচনা
সভায় প্রধান
অতিথি ছিলেন
জাতীয় অধ্যাপক
জামিলুর রেজা
চৌধুরী।
সভায় সভাপতিত্ব
করেন সেন্টার
ফর পলিসি
ডায়ালগের (সিপিডি)
চেয়ারম্যান অধ্যাপক
রেহমান সোবহান। প্রধান
আলোচকের বক্তব্য
রাখেন ব্র্যাক
ইউনিভার্সিটির প্রথম
উপ-উপাচার্য ড. সালেহউদ্দীন
আহমেদ।
এছাড়া বিশিষ্ট
প্যানেলিস্ট হিসেবে
ব্র্যাক গভর্নিং
বডির চেয়ারপারসন
ড. হোসেন
জিল্লুর রহমান,
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
ড. মনজুর
আহমেদ এবং
গণসাক্ষরতা অভিযানের
নির্বাহী পরিচালক
রাশেদা কে
চৌধুরী আলোচনায়
অংশ নেন।
অধ্যাপক রেহমান
সোবহান বলেন,
বাজার অর্থনীতিতে
সাধারণত যেসব
চাহিদার জন্য
খরচ করা
যায়, তার
ভিত্তিতে জোগান
তৈরি হয়। কিন্তু
স্যার আবেদ
ও ড. মুহাম্মদ
ইউনূস এ
ধারণা পাল্টে
দিয়েছেন।
তারা প্রমাণ
করেছেন, প্রান্তিক
অঞ্চলের দরিদ্রতম
কৃষকের তার
সন্তানের জন্য
শিক্ষার চাহিদা
রয়েছে।
সে তার
খরচ বহন
করতে পারে
না বলে
এ চাহিদা
কোনোভাবেই শহুরে
উচ্চবিত্তের দাবির
চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
নয়।
অধ্যাপক জামিলুর
রেজা চৌধুরী
বলেন, ব্র্যাক
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম
উপাচার্য হিসেবে
আবেদ ভাইয়ের
সঙ্গে এক
দশক কাজ
করার সুযোগ
হয়েছে।
যে দেশ
যে বিষয়ের
শিক্ষায় ভালো
করেছে, সেই
দেশ থেকে
বিশেষজ্ঞ এনে
পাঠ্যক্রম সাজিয়েছেন। তিনি
চেয়েছেন ব্র্যাক
বিশ্ববিদ্যালয় হবে
ব্র্যাকের সর্বশ্রেষ্ঠ
এবং সবচেয়ে
দীর্ঘজীবী উত্তরাধিকার।
প্রধান আলোচক
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য
ড. সালেহউদ্দীন
আহমেদ বলেন,
তিনি ‘বটম
টু টপ’ ধারণার
ভিত্তিতে কাজ
করতেন, সম্মিলিত
প্রয়াস এবং
কর্মীদের সমান
গুরুত্ব দেয়ার
ক্ষেত্রে জোর
দিতেন।
প্যানেল আলোচক
ব্র্যাক গভর্নিং
বডির চেয়ারপারসন
হোসেন জিল্লুর
রহমান বলেন,
তিনি (স্যার
আবেদ) ত্রাণ
কর্মকাণ্ড থেকে
নারীর ক্ষমতায়ন,
নারীর ক্ষমতায়নের
জন্য শিশু
মৃত্যু কমানো,
তারপর শিশুদের
জন্য শিক্ষার
প্রসারে মনোযোগী
হয়েছেন।
সমাজের প্রয়োজনে
ক্রমান্বয়ে তার
উদ্যোগ বড়
করেছেন।
শিক্ষার ক্ষেত্রে
তিনি শুধু
সনদ নয়, শিক্ষার
বহুমুখী উদ্দেশ্যের-দক্ষতার
বৃদ্ধি, ব্যক্তিত্বের
বিকাশ ও
সামাজিক মূল্যবোধের
বিকাশের ওপর
গুরুত্বারোপ করতেন। তার
শিক্ষা ও
সামগ্রিক উন্নয়ন
চিন্তার কেন্দ্রে
ছিল মানুষ।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক
ড. মনজুর
আহমেদ বলেন,
ব্র্যাক একটি
শিখনমূলক (লার্নিং)
প্রতিষ্ঠান, যারা
প্রতিটি ছোট
প্রকল্প থেকে
শিখে, গবেষণা
করে বড়
প্রকল্পের দিকে
এগিয়ে গেছে। গ্রামের
মানুষ শিশুদের
শিক্ষার জন্য
খরচ বহন
করতে পারে
না।
তাই তিনি
আন্তর্জাতিক অনুদানের
ব্যবস্থা করেন। সহস্রাব্দ
উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায়
(এমডিজি) বাংলাদেশের
যে সাফল্য,
তাতে ব্র্যাকের
অবদান অনেক
তাত্পর্যবহ।
গণসাক্ষরতা অভিযানের
নির্বাহী পরিচালক
রাশেদা কে
চৌধুরী বলেন,
স্যার আবেদ
শিক্ষাক্ষেত্রে গবেষণার
জন্য প্রতিষ্ঠা
করেছেন এডুকেশন
ওয়াচ, যারা
প্রতি বছর
বিভিন্ন কার্যকর
গবেষণা প্রকাশ
করেছে।
শিক্ষাবিষয়ক বেসরকারি
উদ্যোগগুলোর প্লাটফর্ম
হিসেবে প্রতিষ্ঠা
করেছেন গণসাক্ষরতা
অভিযান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত
বক্তব্যে রাখেন
জ্ঞানতাপস আব্দুর
রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের
মহাপরিচালক ড. আহরার
আহমদ।