আশুগঞ্জ পাওয়ারের বন্ডের লেনদেন শুরু আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সরকারি কিংবা বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে প্রথমবারের মতো প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সেকেন্ডারি বাজারে বন্ড ইস্যু করেছে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) আজ দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেএনক্যাটাগরিতে কোম্পানিটির বন্ডের লেনদেন শুরু হচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বন্ডটির ট্রেডিং কোড এপিএসসিএলবন্ড এবং কোম্পানি কোড ২৬০০৪ আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বন্ডটির ট্রেডিং কোড একই হলেও কোম্পানি কোড ৪০০০৪।

আইপিওর মাধ্যমে আশুগঞ্জ পাওয়ার ১০০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে। উত্তোলিত অর্থের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন সিভিল ওয়ার্কের জন্য ৪৬ কোটি ৮০ লাখ, প্রাথমিক জ্বালানি ৩০ কোটি, যানবাহন ক্রয়ে কোটি ৬০ লাখ, প্রকৌশলী পরামর্শক সেবার জন্য কোটি ৪০ লাখ, চলতি মূলধন বাবদ ১০ কোটি ৯৯ লাখ এবং আইপিওর খরচ খাতে কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। আশুগঞ্জ পাওয়ার আইপিওতে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহের বাইরে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে আরো ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

প্রতিটি হাজার টাকা ইস্যু মূল্যের দুই লাখ নন-কনভার্টিবল ফুললি রিডিমেবল কুপন বিয়ারিং বন্ড আইপিওর মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। সাত বছর মেয়াদি বন্ডটির বার্ষিক কুপন সুদহার হবে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদহারের সঙ্গে শতাংশ মার্জিনযুক্ত হার (যা সর্বনিম্ন দশমিক সর্বোচ্চ ১০ দশমিক শতাংশ) কুপন অর্ধবার্ষিক মেয়াদে প্রদেয়। আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হাজার টাকায় কোম্পানিটির একটি বন্ড বরাদ্দ ছিল। আইপিওতে আসার পর প্রথম তিন বছর বিনিয়োগকারীরা ট্রেজারি বিলের সুদহারের সঙ্গে মার্জিনযুক্ত হারে লভ্যাংশ পাবেন। আর চতুর্থ বছর থেকে লভ্যাংশের পাশাপাশি বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত দেয়া শুরু হবে। এর মধ্যে চতুর্থ বছরে ২৫ শতাংশ, পঞ্চম বছরে ২৫, ষষ্ঠ বছরে ২৫ সপ্তম বছরে ২৫ শতাংশ অর্থ ফেরত দেয়া হবে। আর সপ্তম বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের পাওনা পুরোপুরি পরিশোধের পর বন্ডটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। বন্ডটি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত অন্যান্য সিকিউরিটিজের মতোই লেনদেন করা যাবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর বিএসইসির ৬৯২তম কমিশন আশুগঞ্জ পাওয়ারের আইপিও অনুমোদন করা হয়। কোম্পানিটির প্রসপেক্টাস অনুসারে ৩০ জুন ২০১৭ শেষে এর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে হাজার ৮১০ কোটি টাকায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন