প্রেক্ষাগৃহে কাল স্পর্শিয়ার ছবি...

রাইসা জান্নাত

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মুক্তি পেতে চলেছে নিয়ামুল মুক্তা নির্মিত চলচ্চিত্র কাঠবিড়ালী। আগামীকাল দেশের ১৮টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে। কাঠবিড়ালীর অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্চিতা স্পর্শিয়া। ছবিটি নিয়ে অভিনেত্রী তার নিজস্ব অভিব্যক্তি, প্রত্যাশা, কাজের অভিজ্ঞতা চরিত্র সম্পর্কে টকিজের সঙ্গে কথা বলেন। তার সঙ্গে কথোপকথনের চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো

রাত পেরোলেই কাঠবিড়ালী মুক্তি পাবে। ছবিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?

কাঠবিড়ালী নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী। আসলে ছবিটি নিয়ে আমাদের সবারই অনেক প্রত্যাশা। অনেক কষ্ট করে সবাই মিলে আমরা ছবিটি তৈরি করেছি। গত মাসে পাবনা জেলার গজারমারা গ্রামে ছবিটির প্রিমিয়ার হয়। গ্রামেই আমরা ছবির শুটিং করেছিলাম। প্রিমিয়ারের সময় সেখানকার সাধারণ গ্রামবাসী ছবিটি দেখেছে। তাদের দিক থেকে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি আমরা। সেই জায়গা থেকে আশা করছি, বাকি সবার কাছ থেকেও ভালো সাড়া পাব।

দর্শক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি কেন দেখবেন?

অনেক কারণ আছে। কাঠবিড়ালী একটি ভালো গল্পের ছবি। প্রেম-ভালোবাসার গল্প। ছবিটি তৈরি হয়েছে গ্রামের প্রেক্ষাপট নিয়ে। একটি প্রেম-ভালোবাসার গল্পে যা যা থাকেবিচ্ছেদ, বেদনা, হিংসা নানা অনুভূতি নিয়েই কাঠবিড়ালী। আমার নিজের কাছেও ছবির গল্পটি অসাধারণ লেগেছে। আরেকটি বিষয় হলো, নির্মাতা নিয়ামুল মুক্তা একদম নবীন। তা সত্ত্বেও তিনি ছবির গল্পটাকে খুব সুন্দরভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন। আর ছবিতে সবাই খুব ভালো অভিনয় করেছেন।


বলছিলেন, ছবির নির্মাতা একেবারে নতুন। তো নতুন নির্মাতার বানানো ছবি দর্শকের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে মনে করেন?

ছবির পরিচালক নিয়ামুল মুক্তা অভিনেতা আবির দুজনই নতুন। নতুন হলেও নির্মাতা হিসেবে মুক্তা ভালো কাজ করেছেন। ছবিটি সুন্দর করে বানিয়েছেন। আমার মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা যারা পুরনো শিল্পী রয়েছি, তাদের সবার উচিত নতুনদের স্বাগত জানানো। তাদের সমর্থন করা, পাশে থাকা। তেমনি দর্শকদেরও উচিত নতুন নির্মাতা, কলাকুশলীকে সমর্থন করা, ভালোভাবে গ্রহণ করা এবং তাদের তৈরি ছবিগুলো দেখা। এতে ভালো ছবি তৈরি নিয়ে দর্শকদের যে অভিযোগ, তাও অনেকখানি কমে যাবে। আর এর মাধ্যমেই নবীনরা নতুন নতুন কাজের সুযোগ পাবেন।

ছবির ট্রেইলারে আপনাকে গ্রামের সাধারণ একটি মেয়ের চরিত্রে দেখা গেছে। বিষয়ে কিছু বলুন।

কাঠবিড়ালীতে আমার চরিত্রটির নাম কাজল। গ্রামের মেয়ে। আমার বেশির ভাগ আলোচিত নাটকের চরিত্র কিন্তু গ্রামের ছিল। কাজেই গ্রামের চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা আগে থেকেই আছে। ফলে নাটকে দর্শকরা রকম চরিত্রে আমাকে আগেও দেখেছে। কিন্তু বড় পর্দায় এবারই প্রথম কাঠবিড়ালীর মাধ্যমে দর্শকরা আমাকে গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখবে।

এর আগের দুটি ছবিতে আমি একদম শহুরে মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি সব ধরনের চরিত্রে কাজ করতে চাই। কাঠবিড়ালীর গল্প, চরিত্র একদম নতুন। আর গল্পটা ভালো বলেই আমি অভিনয় করেছি। চরিত্রে অভিনয় করে ভালো লেগেছে।

সামগ্রিক দিক থেকে কাঠবিড়ালী ছবির গুরুত্ব সম্পর্কে বলুন।

আমার কাছে ছবির গুরুত্ব অনেক। কারণ এটা আমাদের নিজেদের প্রযোজনার। ছবিতে বাইরের প্রযোজক ছিল না। ছবির কলাকুশলী, পরিচালক সবার প্রচেষ্টায় ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, কাঠবিড়ালী নিজেদের অর্থায়নে নির্মিত। ছবিটি নির্মাণে যে যেভাবে পেরেছি আমরা সহায়তা করেছি। কেউ অভিনয় দিয়ে, কেউবা গান গেয়ে। দুই বছরেরও বেশি সময় লেগেছে ছবির কাজ শেষ করতে। টানা দুই বছর আমরা গজারমারা গ্রামে শুটিং করেছি। ওখানকার মানুষদের নিয়ে কাজ করেছি। সেখানকার গ্রামবাসী ছাড়া আসলে ছবিটি তৈরি করা সম্ভব হতো না।

ছবিটি আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে। সেদিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে বলুন।

সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে যাব। তারপর কাঠবিড়ালীর প্রথম শো সবাই মিলে দেখব। এছাড়া ঢাকার বাইরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ পরিদর্শনের পরিকল্পনাও রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন