২০ বছর পর শুরু হলো জাতীয় স্কুল ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সহযোগিতায় ক্ষুদে শাটলারদের আসরের আয়োজক শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর কোর্টের লড়াই শুরু হয়।
অনূর্ধ্ব-১৪ বয়স বিভাগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আসর। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেড় শতাধিক শাটলার এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করছে। সবগুলো খেলা অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের উডেনফ্লোর জিমনেশিয়ামে।
গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করল শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ। অল্প বয়স থেকেই আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য শাটলারদের প্রস্তুত করতে হবে। এ প্রতিযোগিতা ধারাবাহিকতা রক্ষা করলে আজকের শিশু-কিশোররা আগামী দিনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’
এ প্রতিযোগিতা থেকে বিশেষজ্ঞ কোচদের তত্ত্বাবধানে প্রতিভাবান শাটলার বাছাই করে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক ও টুর্নামেন্ট সচিব ওহিদুজ্জামান রাজু, ‘আমরা কেবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্যেই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখছি না। এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের মাঝেই হয়তো লুকিয়ে আছে আগামী দিনের তারকা শাটলা। তাদের খুঁজে বের করে উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগোচ্ছি।’
এ প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে নিয়মিত আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করে ঘরোয়া শীর্ষ পর্যায়ের ব্যাডমিন্টনে সাতবারের ত্রি-মুকুটজয়ী শাপলা আক্তার বলেছেন, ‘আমি নিজেও স্কুল কার্যক্রম দিয়ে উঠে এসেছি। এ আয়োজনটি আমার জন্য অনেক আবেগের। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের এ প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজিত হলে ধারাবাহিকভাবেই খেলোয়াড় পাবে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন। এভাবেই হয়তো একদিন সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছবে দেশ।’
প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে ক্রীড়া সামগ্রী বাজারজাতকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কাওয়াসাকি। প্রতিযোগিতার লজিস্টিক পার্টনার হিসেবে আছে স্কুল কার্যক্রম নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান লিডসাস লিমিটেড।
